অনলাইন ডেস্ক :

রাশিয়া বিশ্বকাপের সোনালি প্রজন্ম দুটি। একটি বেলজিয়াম অন্যটি ক্রোয়েশিয়া। রেড ডেভিলস খ্যাত বেলজিয়াম কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় করে দিয়েছে ব্রাজিলকে। আর ক্রোয়েশিয়া প্রথম রাউন্ডে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। বেলজিয়াম নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো সেমিতে উঠে গেছে। আর ক্রোয়েশিয়া দ্বিতীয়বারের মতো শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে রাতে মাঠে নামছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার খেলার ধরণ, গোল এবং আক্রমণ তাদেরকে সেমির পথে এগিয়ে রাখছে। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাস রাশিয়ার পক্ষে।

বিশ্বকাপ আয়োজক দলের মধ্যে সর্বশেষ যে পাঁচদল কোয়ার্টার নিশ্চিত করতে পেরেছে তারাই সেমিফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব গড়েছে। ১৯৯০ সালে ইতালি সেমিফাইনাল খেলেছে, ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স, ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০৬ সালে জার্মানি এবং ২০১৪ সালে ব্রাজিল। এবার তাই বিশ্বকাপ ইতিহাস রাশিয়ার পক্ষে।

রাশিয়ার বিপক্ষে জিততে হলে ক্রোয়েশিয়াকে স্বাগতিকদের ট্যাকল থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলতে হবে। কারণ স্বাগতিকরা এখন পর্যন্ত ৭০বার প্রতিপক্ষকে ট্যাকল করেছে। তাদের থেকে বেশ ট্যকাল করেছে কেবল ফ্রান্স। দেশমের দল এক ম্যাচ বেশি খেলে ৭৩বার প্রতিপক্ষকে ট্যাকল করেছে।

তবে রাশিয়ার থেকে হলুদ কার্ড বেশি দেখেছে ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েশিয়া ৮টি হলুদ কার্ড খেয়েছে। সেখানে রাশিয়া হলুদ কার্ড দেখেছে মোটে ৫টি। রাশিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হয়েছে এর আগে মাত্র তিনবার। এই তিনবারের দেখায় হর্স খ্যাত রাশিয়া জয়ের মুখ দেখেনি একবারও। দুই ড্রয়ের পাশাপাশি এক জয় ক্রোয়েশিয়ার নামের পাশে। রাশিয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করা দেশের তালিকায় আছে ক্রোয়েশিয়ার নাম।

ক্রোয়াটদের প্রতিপক্ষের গোলবার লক্ষ্য করে নেওয়া শটের ১৩টি ফিরিয়ে দিয়েছে গোলরক্ষক। আর ম্যাচে তারা ৬১টি সুযোগ তৈরি করেছে। ম্যাচ প্রতি তাদের আক্রমণ প্রায় ১৫টি করে। অন্যদিকে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিয়েছেন ৯টি। আর স্বাগতিকরা আক্রমণ করেছেন ৩৩বার। তবে রক্ষণভাগে রাশিয়ার ফুটবলারা দারুণ পারফর্ম দেখিয়েছেন। তারা গ্রুপ পর্ব থেকে শেষ ষোলোয় খেলা ৪ ম্যাচে ১৯৬টি বল বিপদমুক্ত করেছেন। যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রমণ বিপদমুক্ত করার রেকর্ড।

বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল খেলা। ১৯৯৮ সালে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। আর রাশিয়া এর আগে কখনো দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারেনি। তাই কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাই তাদের সেরা সাফল্য। তবে ১৯৬৬ বিশ্বকাপে রাশিয়া যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তভূক্ত ছিল তখন তারা সেমিফাইনালে ওঠে।