ব্রাজিলের তারকা ফুটবলারদের নিয়ে চিন্তায় বেলজিয়ামের কেউ ‘ঘুম নষ্ট করছে না’ বলে দাবি করেছিলেন অধিনায়ক ভিনসেন্ট কম্পানি। কোয়ার্টার-ফাইনালের লড়াইয়ে ব্রাজিলের অধিনায়ক মিরান্দা পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, বেলজিয়ামের এই ‘উসকানি’ আসলে তাদের ব্রাজিল ভীতি লুকানোর জন্য।
কাজানে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় রাশিয়া বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল।
ম্যাচের আগের দিন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষ ব্রাজিলকে ‘খেলোয়াড়দের মানের দিক থেকে বিশ্বকাপের সবচেয়ে কঠিন দল’ হিসেবে উল্লেখ করেন কম্পানি। তবে সেটা নিয়ে ভাবনা নেই দাবি করে বলেন, “ব্রাজিলের কাছে এরই মধ্যে আমরা হেরে গেছি, এমনটা ভেবে কেউ ঘুমাতে যাবে না।”
বেলজিয়ামের অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড় নিজের দলকে চাঙ্গা করার জন্য এসব বলছে বলে মনে করেন শেষ আটে ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া মিরান্দা।
“আমরা সব ধরনের উসকানিমূলক কথা বুঝি। এটা আপনার ভয় লুকানোর একটা উপায়।”
“ব্রাজিল জাতীয় দলের বিপক্ষে আপনার বিশেষভাবে প্রস্তুত হতে হবে। আর কম্পানির মতো একজন নেতাকে তার সতীর্থদের সামনে আত্মবিশ্বাস দেখাতে হবে।”
কাজানের ম্যাচটা হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দুটি দলের লড়াই। বিধ্বংসী আক্রমণভাগের সঙ্গে দৃঢ় রক্ষণভাগের ধ্রুপদী এক লড়াই।
রাশিয়ায় এ পর্যন্ত খেলা চার ম্যাচে উরুগুয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ব্রাজিলও সবচেয়ে কম, মাত্র এক গোল হজম করেছে। সিলভা-মার্সেলো-মিরান্দা-লুইসরা গোলে মাত্র পাঁচটি শট নেওয়ার সুযোগ প্রতিপক্ষদের দিয়েছেন; যেটি চলতি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম। অন্যদিকে বেলজিয়াম রাশিয়ার আসরে সর্বোচ্চ ১২টি গোল করেছে।
শুক্রবারের ম্যাচে দারুণ ছন্দে থাকা রোমেলু লুকাকু ও এদেন আজারের বিপক্ষে হয়তো টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে মিরান্দা-সিলভাদের। তবে ৩৩ বছর বয়সী ইন্টার মিলান ডিফেন্ডার মিরান্দার মতে, প্রতিপক্ষের এক বা দুই জন খেলোয়াড়ের উপর নজর দেওয়াটা হবে ভুল।
“বেলজিয়াম মানে শুধু লুকাকু নয়। নিশ্চিতভাবে তাদের খুব শক্তিশালী আক্রমণভাগ আছে। কিন্তু প্রতিপক্ষকে আটকানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সব খেলোয়াড়কে নিয়ে সচেতন থাকা।”