দর্পণ ডেস্ক : মিয়ানমানের একটি বিদ্যালয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজন শিশু। স্থানীয় বাসিন্দা ও দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, সামরিক হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করা হলে এ নিহতের ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটা উল্লেখ করা হয়।
শুক্রবার মধ্য সাগাইং অঞ্চলের লেট ইয়েতির গ্রামে সংঘটিত এ সহিংসতার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি বলেও উল্লেখ করে রয়টার্স।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিদ্যালয় ভবনটিতে বিদ্রোহীগোষ্ঠীর সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের প্রতিহত করতে বিদ্যালয়টি লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি করে সেনা সদস্যরা।
রেডিও ফ্রি এশিয়া, মিজিমাসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানায়, গ্রামটিতে অবস্থিত একটি বৌদ্ধ মঠের ভেতরে থাকা স্কুলটি লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি করতে থাকে সেনাবাহিনী। এতে তাৎক্ষণিক গুলিবিদ্ধ হয়ে কয়েকজন নিহত হন। এরপর সেনাবাহিনী গ্রামটিতে প্রবেশ করলে বাকিরা নিহত হন বলে জানা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই বাসিন্দা জানান, নিহতদের মরদেহ ১১ কিলোমিটার দূরে নিয়ে কবরস্থ করে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় প্রায় দুই হাজার বাসিন্দা গ্রামটি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলেও জানান অপর এক বাসিন্দা।
এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানায়, বৌদ্ধ মঠটিতে কেচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি, পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স নামক দুটি সংগঠনের সদস্যরা লুকিয়ে অবস্থান করছিল। বিদ্রোহীরা গ্রামটিকে তাদের অস্ত্র সরবরাহের পথ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। তাদের প্রতিহত করতে আকস্মিক এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ ঘটনায় কয়েকজন বাসিন্দা নিহত হয় বলেও স্বীকার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। আহতদের হেলিকপ্টারে করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সেনাবাহিনী দাবি করে বিদ্রোহীরা গ্রামের বাসিন্দাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল। এ সময় হাতে তৈরি ১৬টি বোমাও উদ্ধার করে মিয়ানমার সেনারা।