দর্পণ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম রাজা আহমেদ শাওন। তিনি যুবদলের রাজনীতি করতেন।
শাওনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল) নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে তুলারাম কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন সুজনকে। সুজনসহ আটজন যুবদল কর্মী ঢামেকে চিকিৎসাধীন আছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় কাঁদুনে গ্যাস, গুলি, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে চারটি মোটরসাইকেলে আগুনসহ সাত-আটটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শোভাযাত্রা করতে নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের শোভাযাত্রা করতে বাধা দেয়। সে সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
অন্যদিকে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে কাঁদুনে গ্যাস ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় শহরের দুই নম্বর রেলগেট ও আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত শাওন যুবদল কর্মী নাকি পথচারী তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে ছেলেটি মারা গেছে, সে একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাতিজা। নিহত ব্যক্তি বিএনপির (যুবদল) কর্মী, নাকি পথচারী সেটি এখনো তদন্ত চলছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।’

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.