মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেয়া নবজাতক

শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিশুর চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ওই নবজাতক নগরীর লাবিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ১৮ জুলাই রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে তার জন্ডিস, ঘাড়ে ও ডান হাতে ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে। এ ঘটনার পরদিন পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে হাসপাতালের এনআইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নবজাতকের জন্ডিস ভালো হলেও বুকের ও ডান হাতের হাড়ের ফ্র্যাকচার পুরোপুরি ভালো হতে আরো কয়েকদিন লাগতে পারে। তবে নবজাতক এখন শঙ্কামুক্ত।

দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিশুটিকে দেখতে না পেরে খারাপ লাগছে। অন্যের মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছি, শিশুটি ভালো আছে। দুর্ঘটনার পর থেকে অনেকে নানাভাবে আমাদের সহযোগিতা করছেন। ঘরে পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে। শুরু থেকেই প্রশাসন ও সাংবাদিকরা অনেক সহায়তা করেছে আমাদের।

১৬ জুন দুপুরের পর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ৩০ বছরের রত্না আক্তার ও ছয় বছরের মেয়ে সানজিদা আক্তারকে নিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন উপজেলার রাইমনি গ্রামের ৪০ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর আলম। পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে জাহাঙ্গীর, স্ত্রী রত্না ও মেয়ে নিহত হন। এ সময় ট্রাকচাপায় রত্নার পেট ফেটে মেয়েটির জন্ম হয়।