বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সাবেক জাতীয় খেলোয়াড় আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার; ফাইল ছবি

রোববার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভা কক্ষে ভোটাভুটি হয়েছে। ৮১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। সহ-সভাপতি ছাড়া কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য পদে ভোট হয়েছে।

কোষাধ্যক্ষ পদে জিতেছেন খালেদ আহমেদ। সদস্যদের মধ্যে রোকন উদ্দীন আহমেদ ৭৫ ভোট পেয়েছেন সর্বোচ্চ আর সাবেক জাতীয় তারকা ফুটবলার ও টেনিসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ শেখ আসলাম ৬৩ ভোট পেয়ে সর্বশেষ সদস্য হয়েছেন।

বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনে কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত প্রার্থীরা; ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

নির্বাচনের আকর্ষণ ছিল মূলত সহ-সভাপতি পদে। পাঁচ পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন সাত জন। হায়দারের শক্তিশালী প্যানেলে থেকেও শেষ পর্যন্ত সহ-সভাপতি পদে জিততে পারেননি মোহাম্মদ আলী দ্বীন। পঞ্চম সহ-সভাপতি হয়ে চমক দেখিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক সচিব ও টেনিস ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম। 

পাঁচ সহ-সভাপতির মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৭ ভোট পেয়েছেন জসিম উদ্দিন। তার থেকে সাত ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় সহ-সভাপতি হয়েছেন মোতাহের হোসেন সাজু। যিনি বাফুফের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। এর পরের তিন সহ-সভাপতির ভোটগুলো যথাক্রমে সেলিম ৬৭, নেয়াজ আহমেদ ৬৩ ও মাসুদ করিম ৫৩। ১৭ বছরের টেনিসের সঙ্গে কাজ করা দ্বীন পেয়েছেন মাত্র ৪২। এই পদে সর্বনিম্ম ভোট পেয়েছেন সাবেক তারকা নারী সাঁতারু লায়লা নূর ( ৩৯)।

বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনে কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের ফলাফল

হায়দারের মেয়ে ক্ষুদে টেনিস খেলোয়াড় জয়ী সবাইকে ফুল পরিয়ে দিয়েছেন।

২০০৯ সালের পর টেনিসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বর্তমান সচিব পরিমল সিংহ টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন ছয় মাসের কম সময় আগে। এর মধ্যে তিনি নির্বাচন আয়োজন করেছেন যা বিগত ১৩ বছরে অন্য কেউ পারেনি।