রোববার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আগামীকাল (২৭ জুন) সোমবার দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের অধীনে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবেন।
ঢাবি খ ইউনিট তিনটি অনুষদ ও মোট ৩৪ টি বিভাগ নিয়ে গঠিত। মানবিক বিভাগ থেকে আগত শিক্ষার্থীরা এই ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকে৷ ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা মোট ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনি অংশে ৬০ নম্বর এবং লিখিত অংশে ৪০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে।
গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত হয় এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। দেড় ঘণ্টা ধরে চলে ভর্তিযুদ্ধ। এই ইউনিটে ১ হাজার ৭৮৮ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৫৮ হাজার ৫৫৪ জন। সেই হিসাবে আসনপ্রতি লড়ছেন ৩৩ জন প্রার্থী। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দের ভোগান্তি লাঘবের জন্য গতবছরের ন্যায় এবছরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের অন্য ৭টি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পাস নম্বর :
ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে পাস নম্বর ৪০। প্রার্থী ৪০ নম্বর না পেলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবচিত হবে। একইসঙ্গে ভর্তি-পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী বহুনির্বাচনি অংশে বাংলায় ন্যূনতম ০৫ নম্বর, ইংরেজিতে ন্যূনতম ০৫ নম্বর, সাধারণ জ্ঞানে ন্যূন্যতম ১০ নম্বর এবং কমপক্ষে সর্বমোট ২৪ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবে। A-Level সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে বাংলা বিষয়ের বিকল্প হিসেবে Elective English-এ ন্যূনতম ০৫ নম্বর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পেতে হিবে।
পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার অংশে ন্যূনতম ১১ নম্বর পেতে হবে। এর মধ্যে বাংলা অংশে ন্যূনতম ০৫ এবং ইংরেজিতে ন্যূনতম ০৫ পাওয়া আবশ্যক। ‘এ’ লেভেলের ক্ষেত্রে উল্লিখিত শর্ত সমভাবে প্রযোজ্য হবে। এ বছরও প্রতি চারটি ভুল উত্তরের জন্য একটি শুদ্ধ উত্তরের নম্বর কাটা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
মেধাস্কোর তৈরির পদ্ধতি:
মােট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২ দিয়ে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২ দিয়ে গুণ করে এই দুইয়ের যােগফল ২০ নম্বরের ভর্তি-পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে যােগ করে পরীক্ষার্থীর মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।