পদ্মাসেতু, ইনসেটে আলো ঝলমলে মাদারীপুর শহর- ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

সরেজমিনে দেখা গেছে- পদ্মাসেতু উদ্বোধন উৎসব উপলক্ষে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে তৈরি হচ্ছে বিশাল মঞ্চ। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে মাদারীপুরসহ পদ্মাপাড়ের জেলাগুলোতে। বুধবার সকালে আনন্দ শোভাযাত্র করেছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতু উদ্বোধন উৎসবে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে আসা মানুষ ভিড় করছেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাচ্চর ও পৌর বাজারের আবাসিক হোটেলগুলোতে। কিন্তু এরই মধ্যে হোটেলগুলো উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুকিং করে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ জুন থেকে ২৫ জুন হোটেলগুলো বুক করে রাখা হয়েছে। এ কারণে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অনেকেই অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

শিবচর পৌর বাজারে হোটেল আল মকিম, হোটেল খান, হোটেল ৭১ উৎসব ও হোটেল আরিফ এবং পাচ্চর বাজারে হোটেল সোনার বাংলা নামে ১টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে দেড় শতাধিক কক্ষ রয়েছে। বছরের অধিকাংশ সময় হোটেলগুলোর কক্ষ বেশিরভাগ খালিই থাকে। তবে সেতু উদ্বোধনের জনসভাকে ঘিরে প্রতিটি হোটেল আগে থেকেই ভাড়া নেয়া হয়েছে। আগামী পাঁচদিন কোনো রুম খালি হচ্ছে না।

পদ্মাসেতুর আদলে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে তৈরি করা হচ্ছে জনসমাবেশের মঞ্চ

হোটেল আল মকিমের ম্যানেজার মো. রাসেল বলেন, আমাদের হোটেলের সব রুম ২৫ তারিখ পর্যন্ত বুকিং দেওয়া আছে।

হোটেল আরিফ-এর মালিক নয়ন ফকির বলেন, আমার হোটেলে সব রুম বুকড। ২৬ তারিখের আগে খালি হবে না।

এদিকে শিবচরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মাসেতু উদ্বোধনসহ বর্ণিল সব আয়োজন উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনরা এসেছেন।

খুলনা থেকে শিবচরে এসেছেন সেতারা বেগম। তিনি বললেন, পদ্মাসেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু। একসময় পদ্মা পাড়ি দিতে দুর্ভোগের শেষ ছিল না। সেতু চালু হলে সেই দুর্ভোগ আর থাকবে না। এ কারণে সেতু উদ্বোধনের মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতেই মাদারীপুরে এসেছি। এ উৎসবের পুরো আয়োজন উপভোগ করব।

এদিকে ২৫ জুন শিবচরে জনসভার জন্য পদ্মাসেতুর আদলে তৈরি করা হচ্ছে মঞ্চ।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে মাদারীপুরকে। আমরা চাই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকুক।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধন উৎসব সফল করতে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সারাদেশের মানুষ যেন এ উৎসব উপভোগ করতে পারে- সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে এ উৎসবের আয়োজনে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।