মঙ্গলবার রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামের দ্বিতীয় দিনে এক সেশন আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। অনেক নতুন আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন বিচার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল ব্যবস্থায় নারীদের নিরাপত্তার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। সংশোধিত শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ করা হয়েছে। আইনের কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত হচ্ছে।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা নির্ভর করে সামাজিক অবস্থা ও মূল্যবোধের ওপর। আমরা রাতারাতি সামাজিক অবস্থা বদলে ফেলতে পারি না। তবে ধীরে ধীরে তা পরিবর্তন করতে পারবো। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, সেল ও ট্রমা হেল্প সেন্টারকে উত্তম চর্চা হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অনুসরণ করছে। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন সৃষ্টি করতে সহিংসতা, বাল্যবিয়ে ও যৌতুক রোধ বিষয়ে কিশোর-কিশোরীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।