ফাইল ফটো

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শল এম মফিদুর রহমান  এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেছেন, প্রকল্পটি প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থার মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় চালু করবে বেবিচক।

এ শাটলের উদ্দেশ্য হলো যেসব যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে বিমানবন্দরের সামনে থামেন তাদের বিমানবন্দরে নিয়ে আসা। আবার বিদেশ থেকে ফেরা যাত্রীদের মধ্যে যারা বিমানবন্দরের সামনে থেকে রেলস্টেশন বা বাসে উঠবেন তাদের টার্মিনাল থেকে ঐ গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া।

বর্তমানে এসব যাত্রীর বিমানবন্দরের সামনের রাস্তা থেকে লাগেজ মাথায় নিয়ে টার্মিনালে আসতে হয়। এ সময় তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অল্প দূরত্ব হওয়ায় সাধারণত কোনো প্রাইভেটকার কিংবা অটোরিকশা রেল স্টেশনের সামনে থেকে টার্মিনালে যেতে চান না। আবার অনেক সময় অটোরিকশা কিংবা ভাড়ার কারের চালকরা অনেক ভাড়া চেয়ে বসেন। বাধ্য হয়ে যাত্রীদের মোটা অংকের ভাড়া দিয়ে টার্মিনালে যেতে হয়। অনেক সময় যাত্রীরা অটোরিকশা না পেয়ে দীর্ঘ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। অনেকে ফ্লাইট মিস করারও অভিযোগ আছে। 

এসব কথা চিন্তা করে এ শাটল বাস সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। নামমাত্র ভাড়ায় যাত্রী এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন এ শাটল সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা রাজি হয়েছেন। বাজেট পাওয়ার পর বাস কেনা হবে। এমন বাস কেনা হবে যাতে সহজে লাগেজ কিংবা মালামাল উঠানো যায়। বাসে কিছু আসন রাখা হবে যাতে বয়স্করা বসতে পারেন। লাগেজপত্র রাখার জন্য বাসে পর্যাপ্ত জায়গা থাকবে। বাসটি টার্মিনাল থেকে চালু হয়ে বিমানবন্দরের সামনের বাসস্ট্যান্ডে প্রথম থামবে। এরপর উত্তরা থেকে ইউ টার্ন নিয়ে বিমানবন্দর রেলস্টেশনের সামনে থামবে।