কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের একাংশ- ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ না নিলে এখানকার পর্যটন খাত লোকসানের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কুয়াকাটার ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে দুই দিকে ৩০০ মিটার এলাকার ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড গেল বছরের মতো এ বছরও জিওটিউব স্থাপন করেছে। কিন্তু স্থায়ী কোনো কার্যক্রম না থাকায় উত্তাল সাগর ২-৪ বছরে মূল বাঁধও ঝুঁকিতে ফেলবে। বর্তমানে মীরাবাড়ি এবং মাঝিবাড়ি পয়েন্টে বেড়িবাঁধে জোয়ারের সময় ঢেউয়ের ঝাপটা লাগে। জিরো পয়েন্টের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিওব্যাগ-জিওটিউবে জোয়ারের সময় পানি ঢুকে আটকে থাকছে।

জিরো পয়েন্টের পশ্চিম দিকে একটি পাবলিক টয়লেট আছে। এটির সেপটিক ট্যাংক জোয়ারের ঝাপটায় ডুবে যায়। সেই পানি বার মিশছে সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে। এতে দূষিত হচ্ছে পানি, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। পর্যটকরা ঐ পয়েন্টে গোসলে নেমে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন। এছাড়া ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে যাওয়া স্থাপনার কাঠ-টিন পড়ে আছে।

দিনদিন শ্রী-হীন হয়ে পড়ছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। চিরচেনা পরিচ্ছন্ন কুয়াকাটা সৈকত এখন পর্যটকদের কাছে অনেকটাই অচেনা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, প্রায় ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুয়াকাটা সৈকতের ১২ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা প্রকল্প বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে দেওয়া আছে। অতি দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেএম বাচ্চু জানান, এখন বিচের যে অবস্থা- তাতে পর্যটক গোসলে নেমে কমবেশি আহত হন। জিরো পয়েন্টের পাবলিক টয়লেট দেখে পর্যটকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।

কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে হতাশা ব্যক্ত করেছেন পর্যটকরাও। তারা জানান, সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। এবড়ো-খেবড়ো হয়ে আছে, জোয়ারের সময় ওয়াকিং জোন থাকছে না। সৈকতে পড়ে থাকা জিও ব্যাগসহ বিভিন্ন ধরনের ব্লকে আঘাত পেতে হয়। সৈকত রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই আকর্ষণ হারাবে কুয়াকাটা।