ছবি: সংগৃহীত

চিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষে আইনজীবী এডুয়ার্ডো কারলেজ্জোর দাবি, ইকুয়েডর তাদের বাছাই পর্বে অনুপযুক্ত খেলোয়াড়কে মাঠে নামিয়েছিল। তাদের অভিযোগ বাইরন ক্যাস্তিল্লোকে নিয়ে। চিলির শীর্ষ ফুটবল সংস্থার কাছে প্রমাণ আছে, ওই খেলোয়াড়ের জন্ম কলম্বিয়ার টুমাকোয়। ২৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার খেলেন ইকুয়েডরিয়ান ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে, কিন্তু ভুয়া জন্মসনদ ও পাসপোর্ট দেখিয়ে দেশটির জাতীয় দলে খেলেছেন।

৮ জুন ঐ আইনজীবী অভিযোগের প্রমাণপত্র ফিফার কাছে জমা দেন। কারলেজ্জো বলেছেন, ‘(কাস্তিল্লোর) বাবা মা বিয়ে করেছেন টুমাকোতে, বাইরনের জন্ম সেখানে এবং ওখানেই ব্যাপটাইজড হয়েছেন।’

কাস্তিল্লো ইকুয়েডরের হয়ে আটটি বাছাই ম্যাচ খেলেছেন, এর মধ্যে সাত ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন। খেলেছেন ৬১৪ মিনিট। গোলে অ্যাসিস্ট একটি।

চিলির অভিযোগের সত্যতা পেলে ইকুয়েডরের বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া নিশ্চিত। সম্ভাব্য শাস্তি হিসেবে কাস্তিল্লোর খেলা আট ম্যাচের সবগুলো পয়েন্ট হারাবে ইকুয়েডর। তাতে দলটির পয়েন্ট দাঁড়াবে মাত্র ১১, তখন ১০ দলের টেবিলে তারা নেমে যাবে নবম স্থানে। ইকুয়েডরের সঙ্গে দুই ম্যাচ খেলে চিলি কেবল এক পয়েন্ট পেয়েছিল। শাস্তি অনুযায়ী ম্যাচের ফল ৩-০ তে চিলির পক্ষে গেলে তারা সাত থেকে চারে উঠে যাবে এবং জায়গা পাবে বিশ্বকাপে।

কলম্বিয়া কিংবা পেরুর বিপক্ষে কাস্তিল্লো খেলেননি। তাতে করে বাড়তি পয়েন্ট নিয়ে পেরুকে টপকে চতু্র্থ হবে চিলি। আর পেরুভিয়ানদের আগের মতোই ১৩ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে হবে প্লে অফ।

কিন্তু ফল বিবেচনায় না এনে যদি পুরো বাছাই থেকে ইকুয়েডরকে বাদ দেয় ফিফা, সেক্ষেত্রে পাঁচে থাকা পেরু চারে উঠবে এবং ছয়ে থাকা কলম্বিয়া পঞ্চম স্থানে উঠে খেলবে প্লে অফ। 

জানা গেছে, ১০ জুন এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে ফিফা। ইকুয়েডর কি বাদ পড়বে? তারা বাদ পড়লে কি চিলি নাকি পেরু কিংবা কলম্বিয়ার আশা জাগবে সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে ঐ দিন।