লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : যখনই জুন মাসের নাম আসে, ঠিক তখনই বুকের মধ্যে কেঁপে উঠে, কান্না বের হয়ে আসে, রক্তাক্ত ৬ই জুন। ২০০৩ সালে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, লালপুর-বাগাতিপাড়ার মাটি ও মানুষের নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মমতাজ উদ্দিনকে রাতের অন্ধকারে নিমর্মভাবে কুপিয়ে হত্যা করে কতিপয় কুলাঙ্গাররা এমনই আক্ষেপ করেন শহীদ মমতাজ উদ্দিনের ছোট ভগ্নিপতি জাকাত উল্লা খা । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির কাছে বিশাল হৃদয়ের ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা হিসেবে সমাদৃত। ঠিক তেমনি লালপুর-বাগাতিপাড়াবাসীদের নয়নের মণি ছিলেন শহীদ মমতাজ উদ্দিন। দল-মত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন সৎ, মিষ্টভাষী, সদালাপী ও একজন যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে। যার রক্তে তিল তিল করে গড়ে ওঠা লালপুর বাগাতিপাড়ার আওয়ামী লীগ ।
নাটোরের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন মমতাজ উদ্দিন। ১৯৮৬ সালে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তাঁর মৃত্যুর পর স্থানীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে তার পরিবারকে। মমতাজ উদ্দিনের একমাত্র ছেলে শামীম আহমেদ সাগর দাবি করেন, বাবার মৃত্যুর পর লালপুর-বাগাতিপাড়া উপজেলার মানুষের পাশে থেকেছেন, বাবা আসনের হাল ধরার চেষ্টা করেছেন। চেষ্ঠা করেছেন দলীয় পদ পদবী পেতে। দলীয় নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আর আক্রোশের শিকার হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পরও রাখা হচ্ছে না দলীয় কোন পদ পদবীতে। সাগর আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের যথেষ্ট খোঁজখবর রাখেন আমাদের স্নেহ করেছেন। তবে স্থানীয় নেতাদের আক্রােশে ১৯ বছর যাবত স্থানীয় রাজনীতি সক্রিয় থাকার পরেও আমাকে এখন পর্যন্ত জেলা বা উপজেলায় নূন্যতম সদস্য পদেও রাখা হয়নি। এই জনপদে বাবার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাই। তাই এবার আগামী লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সঠিক মূল্যয়ন করবে বলে আমি প্রত্যাশা রাখি।
মমতাজ উদ্দিনের স্ত্রী শেফালী মমতাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আমাদেরকে মূল্যায়ন করেছেন তবে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে মূল্যায়ন করে নাই। আমার স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দলের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মৃত্যু দুই দশকেও আমার ছেলেকে দলীয় কোন পদ পদবী দেয়া হয় নাই। এজন্য আমার স্বামীর লালপুর বাগাতিপাড়া নিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার জোর দাবি আমার ছেলেকে যেন সঠিক মূল্যায়ন করা হয়।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.