দর্পণ ডেস্ক : রাশিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনে মার্কিন সেনা না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠকে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ার পর বুধবার (৮ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ইউক্রেনে হামলার আশঙ্কা নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বাইডেন।
বাইডেন জানিয়েছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে কঠোর জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করবে না। তবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্ররোচনা ও উসকানির অভিযোগ আনেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এছাড়া পূর্ব ইউরোপে সামরিক জোট ন্যাটোর বিস্তার না করা এবং রাশিয়ার আশেপাশে বিধ্বংসী অস্ত্রের মোতায়েন না করার দাবিও করেন পুতিন। ভার্চ্যুয়াল এই বৈঠকের পরদিন বুধবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ইউক্রেন দখলের জন্য সম্ভাব্য রুশ অভিযান মোকাবেলা করতে তিনি ইউক্রেনে মার্কিন সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেবেন না। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন আরও বলেন, ‘এটি (ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন) আমাদের বিবেচনাধীন নয়। রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর বিরুদ্ধে একতরফাভাবে শক্তি প্রয়োগ করবে, এমন চিন্তা এই মুহূর্তে আমাদের বিবেচনায় নেই। হামলার ঘটনা ঘটলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ।’ হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বুধবার জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা বাদ দিলেও, অন্যান্য বহু উপায়ে ওয়াশিংটন কিয়েভের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে পারে।
ওয়াশিংটন বরাবরই অভিযোগ করে আসছে যে, ন্যাটোর সদস্য দেশ ইউক্রেনের সীমান্তে বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। দেশটির আশঙ্কা, ২০১৪ সালে রাশিয়া যেভাবে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছিল এবারও ঠিক একইভাবে ইউক্রেনে হামলা করা হতে পারে এবং সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করতে পারে। ওয়াশিংটন বলছে, রাশিয়া এমন কিছু করলে পশ্চিমারা দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। মস্কোর দাবি, রুশ সেনারা নিজস্ব ভূখণ্ডেই অবস্থান করছে এবং সেখানে তারা আত্মরক্ষামূলক কর্মকাণ্ডই পরিচালনা করছে। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার ৯৪ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে, যা এক লাখ ৭৫ হাজারে উন্নীত হতে পারে। এছাড়া আগামী মাসেই হামলার আশঙ্কা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউক্রেনও।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.