দর্পণ ডেস্ক : বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলার ইতি টানা হয়েছে। কাগজে-কলমে আরও এক ঘণ্টা খেলা বাকি ছিল। কিন্তু শীতকাল হওয়ায় এখন ৫ টা ১১ মিনিটে সূর্যাস্ত হয়। আলো কমে আসে। তাই ফিল্ড আম্পায়ারেরা আলো পরীক্ষা করে দিনের খেলার ইতি টেনেছেন। বাংলাদেশও বেঁচে গেছে অল-আউটের লজ্জা থেকে। ৭ উইকেটে ৭৬ রান তুলে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল শেষ দিনে ফলোঅন এড়াতে আরও ২৫ রান করতে হবে মুমিনুল হকের দলকে। বাকি তিন উইকেট নিয়ে এই রান করতে পারবে বাংলাদেশ?
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মহাবিপদে পড়ে বাংলাদেশ দল। যথারীতি টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ব্যর্থ হন। অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয় ৭ বল খেলে ‘ডাক’ মারেন। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ২৮ বলে ৩ রান করে ফিরেন। দুটি উইকেটই নিয়েছেন সাজিদ খান। চার নম্বরে নামা অধিনায়ক মুমিনুল হক দৃষ্টিকটুভাবে রান-আউট হয়ে যান ১ রান করে। ২২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শান্তকে নিয়ে লড়ছিলেন মুশফিকুর রহিম। স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ হতেই আবার ভাঙন। সাজিদ খানকে দারুণ কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে পরের বলেই ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক (৫)। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও নুমান আলীকে তেঁড়েফুড়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে নো বল হওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান। তখন তিনি ২১ রানে ব্যাট করছেন। চট্টগ্রাম টেস্টের হিরো লিটন কুমার দাসও (৬) সাজিদর চতুর্থ শিকারে পরিণত হয়ে ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন। দলীয় ৬৫ রানে নাজমুল হোসেন শান্তর বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন হয়। আম্পায়ার আঙুল তুললেও শান্ত রিভিউ নেন। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। ৫০ বলে ৩ চারে ৩০ রান করা শান্তকে ফিরতেই হয়। আরেক অল-রাউন্ডার মেহেদি মিরাজকে (০) ফিরিয়ে নিজের ৬ষ্ঠ শিকার ধরেন সাজিদ খান। পরিস্থিতি এমন হয় যে, পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল তুলে নেন! অফ স্পিনে ১ ওভার বল করে দেন ১ রান। তাইজুলের উইকেটও পেতে পারতেন, যদি ক্যাচটি মাটিতে না পড়ত। কাগজে-কলমে ম্যাচ শেষের এক ঘণ্টা আগেই চতুর্থ দিনের খেলার ইতি টানেন আম্পায়ারদ্বয়। ৭ উইকেটে ৭৬ রান তুলে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ফলোঅন এড়াতে আগামীকাল তাদের আরও ২৫ রান করতে হবে। দিনশেষে সাকিব ২৩* আর তাইজুল ০* রানে অপরাজিত। মঙ্গলবার ২ উইকেটে ১৬৬ রান নিয়ে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে খেলতে নামে পাকিস্তান। সকালে দুটি উইকেট তুলে নেন দুই পেসার ইবাদত হোসেন আর খালেদ আহমেদ। ১৪৪ বলে ৫৬ রান করা আজহারকে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন ইবাদত। তারপর বাবর আজম ১২৬ বলে ৭৬ রান করে খালেদের শিকার হন। দুই দিন যেহেতু বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে, তাই আজ ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।