দর্পণ ডেস্ক : ১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিষেক হয় দেশীয় চলচ্চিত্রে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় জুটি নাঈম ও শাবনাজ। ঢাকাই সিনেমার সফল জুটি তারা। দখল করে আছেন দর্শকদের হৃদয়। একসঙ্গে কাজের সুবাদে নাঈম-শাবনাজের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ক পূর্ণতা পায় বিয়ের মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর বিয়ে করেন তারা। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল ২৭ বছর। সংসার জীবনের ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এ দম্পতি। সেখানে রয়েছে দুটি ছবি। যার একটি তাদের বিয়ের, অন্যটি বর্তমান সময়ের। আর ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, একসঙ্গে পথ চলার ২৭টি বছর পার করলাম। সুখ, দুঃখ, আনন্দ, ত্যাগ, ভালোবাসা মিলে মিশে কাটানো সম্ভব হয়েছে একই মন মানুষিকতা ও আল্লাহর রহমতের কারণে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নেক হেদায়েত দান করুন। আমিন’।
শাবনাজ বলেন, ‘সিলেটে আমরা একটি ছবির শুটিং করছিলাম। শট দেওয়ার পর সুন্দর একটি জায়গায় বসে আছি। এমন সময় নাঈম আমাকে প্রপোজ করে। কথা শুনে আমি অনেক লজ্জা পাই। সিনেমায় আমরা অনেকবার এমন কথা বলেছি। তবে বাস্তবে বিষয়টি একেবারেই আলাদা মনে হয়েছে। অবশ্য আমি এর আগে থেকেই ওকে মনে মনে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। এরপর আমি আমার পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। এরই মধ্যে আমাদের পরিবারের কাছে নাঈম অনেক ভালো ছেলে হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে গিয়েছিল।’
নাঈম বলেন, ‘আমিও বহু সিনেমায় শাবনাজকে এমন প্রেমের কথা বলেছি। তবে বাস্তবের বিষয়টা একেবারেই আলাদা। আমি শাবনাজের মুখ দেখেই বুঝে গেলাম, সে আমাকে ভালোবাসে। তারপর আমরা দুজনই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, সবার সম্মতি নিয়েই বিয়ে করি। বিয়ে করার পর সবার দোয়ায় সুখে-শান্তিতে সংসার করছি।’ এরপর ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর রাজধানীর লালমাটিয়ায় শাবনাজের বাসায় নাঈম-শাবনাজের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সে আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন তাদের দুই পরিবারের সদস্যরা। এই দম্পতির দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এর মধ্যে বড় মেয়ে নামিরা উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় আছেন এবং ছোট মেয়ে মাহাদিয়া রাজধানীর উত্তরার ‘আগা খাঁ’য় পড়াশোনা করছেন।
বিয়ের পর সিনেমা থেকে দূরে সরে যান নাঈম ও শাবনাজ। সংসার জীবনেই মনোযোগী হন এ জুটি। তাদের নামিরা ও মাহাদিয়া নামের দুটি সন্তান রয়েছে। যারা কানাডায় পড়াশোনা করেন। অন্যদিকে নাঈম-শাবনাজ বসবাস করছেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার পাথরাইলে গ্রামের বাড়িতে।