দর্পণ ডেস্ক : স্পেনের ক্যানারি দ্বীপে লা পালমার একটি আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে। গতকাল রোববার আগ্নেয়গিরিটিতে বিস্ফোরণ ঘটার পর ক্রমাগত লাভা নির্গত হতে শুরু করে। দ্বীপের দক্ষিণে কুমব্রে ভিয়জা জাতীয় উদ্যান থেকে পাশের দুটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে থাকে লাভা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে বিস্ফোরণের পর পাহাড়ের গায়ে পাঁচটি ফাটল থেকে লাভা উদগীরণ হতে থাকে। দ্বীপের ক্যাবেজা দে ভাকা নামে একটি গ্রাম কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। মিউনিসিপ্যালিটি থেকে এল পাসো এবং লস ল্লানোস ডি আরিডেনসহ চারটি গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। গ্রামবাসী ও গৃহপালিত পশু-পাখিগুলোকে সরিয়ে নেয়া হয়।
এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর আগ্নেয়গিরি থেকে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত অগ্নুৎপাত ছড়িয়ে পড়ছে। ক্রমাগত লাভা নির্গমণের কারণে আশপাশের জঙ্গল এবং গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাহাড়ের গা বেয়ে লাভা নেমে আসতেও দেখা গেছে। এলাকাটিতে জরুরি উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। রোববার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট এঞ্জেল ভিক্টর বলেন, ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, এখনও অনুমান করা যাচ্ছে না শেষ পর্যন্ত মোট কতজনকে সরিয়ে নিতে হবে। লাভা যেভাবে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। রোববার রাতেই স্থানীয় সরকারের সঙ্গে আলাপ ও অগ্নুৎপাতের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে লা পালমায় পৌঁছেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। প্রয়োজনীয় রসদ ও সেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এর আগে সবশেষ ১৯৭১ সালে এলাকাটিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এলাকাটিতে ১৭ থেকে ২০ মিলিয়ন ঘটমিটার লাভা রয়েছে। লা পালমার ক্যানারি দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। গত সপ্তাহে এলাকাটিতে ২২ হাজার বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। স্প্যানিশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট (আইএনজি) অনুসারে, লা পালমায় প্রথম অগ্নুৎপাত হয়েছিল ১৪৩০ সালে।