দর্পণ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের দেয়া ঘরের দুর্নীতি বা অনিয়মের তদন্ত চালু রাখতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত বন্ধ করবে কেন? তদন্ত চালু রাখতে হবে, তদন্ত করে দেখতে হবে। সেগুলো (ঘর) কারা ভাঙলো, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল, তারা কেন ভাঙলো? বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলব যে, ৩০০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রত্যেকটির তদন্ত তাদের করতে হবে এবং রিপোর্ট দিতে হবে। সরকার প্রধান বলেন, বলতে গেলে ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত কম করে হলেও ১০ লাখ মানুষকে আমি ঘর তৈরি করে দিয়েছি। এবার যে ঘটনাটি ঘটেছে, এখানে (সংসদে) একজন সংসদ সদস্য প্রশ্ন তুলেছেন, আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এটা আমরা তদন্ত করছি। তিনি বলেন, ৯টি জায়গায় দুর্নীতি পেয়েছি। ১০-১২টি জায়গায় অতিবৃষ্টি হলো, সেই বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে ঘর পড়ে গেছে। সেখানে কিন্তু আরও অনেক ঘর ছিল। ৩০০টি জায়গায় যেখানে প্রত্যেকটি ঘরের ছবি আমার কাছে আছে। পুরো বিষয় তদন্ত করে দেখা গেছে, সেখানে দরজা-জানালায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ফ্লোরগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তোলা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি আগামীতে সংসদে ওই ছবিও দেখাবো। এটা তো দুর্নীতির জন্য হয়নি। এটা কারা করলো? তবে হ্যাঁ, কারা করেছে, সেটা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি আরও বলেন, একজন সংসদ সদস্য বললেন, দুর্নীতি দমন কমিশন নাকি বলছে, আমরা আর তদন্ত করব কী? প্রধানমন্ত্রী তো এ নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু যারা ভেঙেছে, তাদের নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য ছিল। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের এ কথা বলার কথা তো নয়। এ কথা যে কর্মকর্তা বলেছেন, যদি আমি জানতে পারি তাহলে তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গরিবদের ঘর করে দেব, সেখান থেকেও টাকা মেরে খাবে? আমরা এখন কংক্রিট এবং স্টিল দিয়ে ঘর করে দিচ্ছি। যাতে সহজে কেউ ভাঙতে না পারে।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.