দর্পণ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগের (সিডিসি) জানুয়ারিতে একটি পরীক্ষা দেখা হয়, একটি তিন স্তরবিশিষ্ট মেডিক্যাল মাস্কের ওপরে কাপড়ের মাস্ক পরে তা কানের সঙ্গে আটকে দেয়ার পর এর সঙ্গে যে বাড়তি কণাগুলো আটকে যায় তা সামগ্রিকভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিরুদ্ধে কতটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, এই পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্ত অ্যারোসলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার ঝুঁকি ৯০ শতাংশ কমে। গবেষণায় আরও দেখা যায়, কোনো মাস্ক না পরার চেয়ে একটি মাস্ক ড্রপলেট আকারের অ্যারোসলের সংস্পর্শ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ফলে মাস্ক মুখের সঙ্গে ভালোভাবে লেগে থাকলে এবং একসঙ্গে দুটি মাস্ক পরলে ব্যক্তির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে। খবর এএফপির।
সিডিসি পরিচালক রোশেল ওয়ালেনস্কি বলেন, পরীক্ষার ফলাফলে যা পাওয়া গেছে তা হল, মাস্ক কাজ করে এবং তা সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করে যখন তা উপযুক্ত ও সঠিকভাবে পরা হয়।
পুনরায় ব্যবহারযোগ্য উপকরণ যা ‘মাস্ক ফিটার্স’ নামে পরিচিত সেটিও মাস্ক উপযুক্তভাবে পরার বিষয়টি উন্নত করে।
পরীক্ষায় দেখা যায়, বোনা হয়নি এমন মেডিক্যাল মাস্ক এককভাবে কৃত্রিমভাবে তৈরি কাশির ৪২ শতাংশ কণা আটকাতে পারে আর কাপড়ের মাস্ক আটকাতে পারে ৪৪.৩ শতাংশ। আর দুটি মাস্ক একসঙ্গে ৯২.৫ শতাংশ কণা আটকাতে পারে।
করোনাভাইরাসের নতুন পাওয়া ধরন আরও দ্রুত ছড়ায়। এ প্রসঙ্গে সিডিসি কর্মকর্তা জন ব্রুক্স ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘আমরা যা করতে পারি তা হল মাস্ক ‘ফিট’ হওয়ার ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে পারি, তাহলেই মহামারির দ্রুত অবসান হবে।