দর্পণ ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের সব দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আক্রান্ত হার ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার জন্য বেশ কিছু নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে।

শুক্রবার দেশটির সাড়ে পাঁচ কোটি পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা হিসেবে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়।  নির্দেশিকাগুলোর মধ্যে রয়েছে, সার্বজনীন মাস্ক পরা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, জীবানুমুক্ত করা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ।

একই সঙ্গে করোনার টেস্টিং এবং ট্রেসিং বাড়ানোর ওপরও জোর দেয়া হয়েছে। তবে বায়ুর মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিকে সেভাবে জোর দেয়া হয়নি। যদিও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম পথ এটাই।

সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক রোচেল ওয়ালেনস্কি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সিডিসি বিভিন্ন স্কুলের জন্য একটি কৌশলগত নীতিমালা প্রকাশ করেছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন নির্দেশনা মেনে চলা হলে স্কুলগুলো আবারও খুলে দেয়া সম্ভব।

ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার পর পরই বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক এবং কর্মীদের যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন প্রদানের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কারণ এটাই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি।

বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংক্রমণের স্তর বিবেচনা করে বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় ছোট শিশুদের করোনা ঝুঁকি কিছুটা কম।

সিডিসির নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৫০ থেকে ৯০ জনের করোনা শনাক্ত হবে সেখানে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পুনরায় চালু করা যেতে পারে এবং একইসঙ্গে অনলাইনেও ক্লাস নেয়া যাবে।

যেখানে সংক্রমণ অনেক বেশি অর্থা ১ লাখে নতুন সংক্রমণ শতাধিক সেখানে যদি এখনও স্কুল খুলে দেয়া না হয় তবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাসের নির্দেশনা শুধুমাত্র অনলাইনে দিতে হবে।

এক বিবৃতিতে রোচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, শিশুরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশেরও কম শিশু এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে যাদের বয়স ৫ থেকে ১৭।