দর্পণ ডেস্ক : আকাশপথের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে বিমান ক্রয়সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ ‘ধ্রুবতারা’। এটি চালুর ফলে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজলভ্য হবে।’
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ধ্রবতারা’ উড়োজাহাজটির উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই উপমহাদেশে আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত চমৎকার। আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে ব্যবসা-বাণিজ্যেসহ সব দিক থেকে সুবিধা পাওয়া সম্ভব। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এতগুলো আধুনিক ও উন্নতমানের বিমান কেনা হলো। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বা অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে ব্যবহার শুরুর আগেই করোনার কারণে বিমান যোগাযোগ একরকম বন্ধই হয়ে আছে।’
শেখ হাসিনা বিমানের উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথা তুলে ধরে বলেন, ‘প্রথমবার সরকারে এসে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে উন্নতকরণের পাশাপাশি সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করি। ১৯৯৬ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুরবস্থা ছিল। আমরা উদ্যোগ নিয়ে আমূল পরিবর্তন করি। তখন বোর্ডিং ব্রিজ বা অনেক কিছুই ছিল না। সবকিছুই আওয়ামী লীগ সরকারের করা। এখন আমরা সেটাকে আরও উন্নত করে দিচ্ছি। থার্ড টার্মিনালও নির্মাণ হচ্ছে। তাছাড়া কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করা হচ্ছে। সৈয়দপুর, সিলেট ও রাজশাহীসহ অন্যান্য বিমানবন্দরকে উন্নত করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে ক্রয় করা তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজের মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে ‘ধ্রুবতারা’। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ নামটি রেখেছেন। কানাডার প্রখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত, ৭৪ আসনবিশিষ্ট ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজটি পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ। নতুন উড়োজাহাজটি সংযোজিত হওয়ায় বিমান বহরে বিদ্যমান মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ।