দর্পণ ডেস্ক : ১৪ চীনা কর্মকর্তার ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হংকংয়ের মেইনল্যান্ডবিরোধী মতামত দমনে চীনের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা যায়। রয়টার্স।

তবে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ওই নতুন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে চীনের তরফ থেকেও হুশিয়ার বার্তা উচ্চারণ করা হয়েছে।

এদিকে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটির (এনপিসিএসসি) ভাইস চেয়ারপারসন। এনপিসিএসসি’র বিরুদ্ধে হংকংয়ের জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

এর আগে, হংকংয়ের বেইজিংসমর্থিত সরকার মেইনল্যান্ডবিরোধী মতামত দমনে চীনের দেওয়া নতুন ক্ষমতাবলে চার গণতন্ত্রপন্থি সদস্যকে বহিস্কার করে।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা। পশ্চিমা দেশগুলোও হংকংয়ের এ পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে।

অন্যদিকে, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে পাঁচ দেশের জোট ‘ফাইভ আইজ’ গ্রুপ গত মাসে বলেছে, সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতেই ওই পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং সমর্থিত নগর প্রশাসন। এরকম চর্চা বন্ধে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বানও জানায় গ্রুপটি।

যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ১৪ কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ হওয়াসহ ওই দেশে তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের লেনদেনও নিষিদ্ধ থাকবে।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মেয়াদের এই শেষ সময়ে এসেও বেইজিংয়ের ওপর চাপ বহাল রাখার নীতি অব্যাহত রেখেছে।

এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, হংকংয়ের প্রতিশ্রুত স্বায়ত্ত্বশাসন ক্ষুণ্ণ করার ইস্যুতে বেইজিংকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র এর মিত্র এবং অংশীদারদের পাশে আছে – সর্বসাম্প্রতিক এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে তাই জানান দেওয়া হয়েছে।