দর্পণ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘ভোট জালিয়াতির’ অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। তবে ‘অতিকল্পিত’ বা ‘কষ্টকল্পিত’ অভিযোগগুলো তদন্ত না করার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। তার এ নির্দেশ আসার পরপরই পদত্যাগ করেন বিচার বিভাগের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রিচার্ড পিলগার।
তিনি মনে করেন, এ ধরনের নির্দেশ একেকটি রাজ্য ধরে দেওয়া যেতে পারে। সার্বিকভাবে দেওয়া যায় না। তবে বার বলেছেন, এ ব্যাপারে ধরাবাধা কোনো নিয়ম নেই।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, ‘আমরাই জিতব। তবে ফলাফল আসতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগবে।’ যদিও এর মধ্যেই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ক্ষমতা গ্রহণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। একই সঙ্গে বাইডেন শিবির আইনগতভাবেও ট্রাম্পকে মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরাই জিতব।’ যদিও তিনি জানান, এতে আরো এক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। তবে কেন সময় লাগবে এবং তিনি কী করে জিতবেন সে ব্যাপারে কোনো প্রমাণ দেননি। এর আগের দিন সোমবার আবার টুইট করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভোটে ‘অচিন্তনীয় ও অবৈধ’ তৎপরতা চালানো হয়েছে। তিনি আবারও জানান, হার স্বীকার করবেন না। বিষয়টি নিয়ে রিপাবলিকান শিবিরে মতামত জোরালো হচ্ছে।
সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান মিচ ম্যাককনেল মনে করেন, ট্রাম্পের এ দাবিতে অনড় থাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘যারা গত চার বছর ট্রাম্পের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তাদের কাছে এখনই পরাজয় স্বীকার করা ঠিক হবে না।’ এ মতে বিশ্বাস করেন ট্রাম্পের বড় ছেলে ট্রাম্প জুনিয়র ও তার ভাই এরিক। এ ছাড়া ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি গিলিয়ানি, দলের ন্যাশনাল কমিটির প্রধান রোনা ম্যাকডানিয়েলসহ আরো অনেকে এ মতে বিশ্বাসী।
এদিকে পেনসিলভানিয়ার নির্বাচনী ফল ঘোষণা বন্ধে আদালতে আবেদন করেছে ট্রাম্প শিবির। তাদের দাবি, ভোট গণনার সময় রিপাবলিকান সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতা করা হয়নি। তবে আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক—দুপক্ষের সদস্যদেরই কভিডের কারণে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়। রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, প্রমাণহীন এই মামলার ‘মেরিট’ নেই।
তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেই কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী জো বাইডেন। তিনি এরই মধ্যে করোনাভাইরাস নির্মূলে পথনির্দেশনা জারি করার জন্য একটি টাস্কফোর্সের নাম ঘোষণা করেছেন। করোনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে জোরালো একটি বক্তব্য গতকাল তার দেওয়ার কথা ছিল।
নির্বাচনে হেরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প। এক টুইটে প্রেসিডেন্ট নিজেই এ কথা জানান। টুইটে ট্রাম্প লিখেন, ‘মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করা হলো। এত দিন ধরে যেভাবে তিনি কাজ করেছেন তার জন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
এরপরই ট্রাম্প ঘোষণা করেন, কার্যকরী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে এসপারের জায়গায় আনা হচ্ছে ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের প্রধান ক্রিস্টোফার মিলারকে। এসপার ট্রাম্পের আমলের চতুর্থ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ১৬ মাস তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্প যে এসপারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল।