দর্পণ ডেস্ক : কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকার নিরাপত্তা তথ্য তাদের হাতে এসে গেছে বলে আমেরিকান বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার শুক্রবার জানিয়েছে। এখন তারা টিকা অনুমোদনের জন্য আবেদন করবে।
তবে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ফাইজার। সেই হিসেবে ৩ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই টিকা বাজারে আসার কোনও সুযোগ নেই।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, কোভিড-১৯ রোধে পরীক্ষামূলক টিকার ইতিবাচক ফল পাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক। তারা এখন সফল টিকার অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আগামী নভেম্বরেই তারা টিকা অনুমোদন পেতে আবেদন করবে।
সিএনবিসি জানিয়েছে, ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা ফাইজারের ওয়েবসাইটে টিকার অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, এটি কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। এর মধ্যে রয়েছে টিকার কার্যকারিতা জানার বিষয়টি। অক্টোবরের শেষ নাগাদ টিকার কার্যকারিতা জানা যেতে পারে, আবার নাও পারে।
বোরলা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে জরুরি টিকার অনুমোদন চাওয়ার বিষয়টি টিকার কার্যকারিতা জানার ওপরেই নির্ভর করছে। যখনই তা জানা যাবে, তখনই আবেদন করা হবে।
এদিকে মার্কিন ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলছে, করোনাভাইরাসের কোনও টিকার জরুরি অনুমোদন দেওয়ার আগে তাদের কমপক্ষে দুই মাসের নিরাপত্তা তথ্য দিতে হবে। সময় নির্ধারণের বিষয়টিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি ৩ নভেম্বর নির্বাচনের আগে টিকা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, জার্মান সহযোগী বায়োএনটেকের সঙ্গে তৈরি করা কোভিড-১৯ টিকার জরুরি অনুমোদনের জন্য তারা নভেম্বরের শেষ দিকে আবেদন করতে পারে। অর্থাৎ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটিতে নির্বাচনের আগেই টিকা আনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ হচ্ছে না।
বোরলা বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবতার নিরিখে জনগণের কাছে কার্যকর তথ্য জানানোর পরিকল্পনা করেছে।