দর্পণ ডেস্ক : তরমুজের ভেতরের অংশ থাকে লাল। তবে এবার উদ্ভাবিত হলো ভেতরে হলুদ রঙের তরমুজ। তরমুজের এই জাতটিসহ দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা। দুটি জাতই অমৌসুমি। আজ সোমবার বারির প্রটোকল কর্মকর্তা মো. আল-আমিন এসব তথ্য জানান।

উদ্ভাবিত দুই জাতের তরমুজের ফলন, আকৃতি, স্বাদ প্রচলিত জাপানি শংকর জাতের চেয়ে উন্নত। এই জাত দুটি থেকে কৃষক নিজেরাই বীজ উৎপাদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আল-আমিন। তিনি জানান, বারির সবজি বিভাগ এবং পটুয়াখালীর লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে জাত দুটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। শিগগিরই নিবন্ধনের মাধ্যমে তা কৃষকের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম সোমবার ওই দুই জাতের তরমুজের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বারির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন।

জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে প্রটোকল কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন, বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে যে সব উন্নতমানের তরমুজ পাওয়া যায়, তার প্রায় সবই জাপান বা অন্যান্য দেশ যেমন চীন, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে আমদানিকৃত শংকর জাতের বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়। ফলে তরমুজের বীজ আমদানি বাবদ প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। এছাড়া এসব জাতের বীজের বিশুদ্ধতা ও অঙ্কুরোদগম হার সব সময় ঠিক না থাকায় কৃষক প্রতারিত হন। কিন্তু বারি উদ্ভাবিত জাত দুটি থেকে কৃষক নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবে।