দর্পণ ডেস্ক : বার্সেলোনা এমন হার কীভাবে হজম করবে? চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের লজ্জায় ডুবিয়েছে বায়ার্ন। লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজদের গোল বন্যায় ভাসিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
দু’দলের শক্তির বিচারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার কথা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটিতে। কিন্তু বার্সেলোনাকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলো বায়ার্ন মিউনিখ। গুনে গুনে কাতালান জায়ান্টদের জালে ৮ বার বল পাঠালো জার্মান ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বের কোনো ম্যাচে ৮ গোল দেয়ার রেকর্ড গড়লো বায়ার্ন।
বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলের হারটি ৮০ বছরের মধ্যে বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় হার। নিজেদের ইতিহাসে এর আগে বার্সেলোনা এক ম্যাচে ৮ গোল হজম করেছিল একবারই- ১৯৩৫ সালে লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। ওই ম্যাচের স্কোরলাইনও ছিল ৮-২!
৫ বছর পর অর্থাৎ ১৯৪০ সালে সেভিয়ার কাছে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হারটি দেখে বার্সেলোনা। সেবার লা লিগার ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ১১-১ ব্যবধানে হেরেছিল বার্সা।
১৯৫১ সালে নগর প্রতিপক্ষ এস্পানিওলের কাছে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় দলটি। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে লিভারপুলের কাছে ৪-০ গোলের হারটিও রয়েছে তালিকায়। একই ব্যবধানে ১৯৯৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে এসি মিলানের কাছে হেরেছিল বার্সেলোনা।
বার্সেলোনাকে আরেকটি গোল দিতে পারলে ইউরোপিয়ান কাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বাধিক গোলের রেকর্ডটা ছুঁয়ে ফেলতো বায়ার্ন। যেটি এখন রিয়াল মাদ্রিদের দখলে রয়েছে। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপের শেষ ষোলোতে এফসি ওয়াকার ইনসব্রাককে ৯-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল রিয়াল।