In this June 17, 2020, photo, Democratic presidential candidate, former Vice President Joe Biden speaks in Darby, Pa. John Bolton's claims that President Donald Trump urged China’s Xi Jinping to help him win reelection is casting a renewed spotlight on a major front in the 2020 presidential campaign: the battle over who has been softer on Beijing. China already loomed large in the contest as Trump and Biden, have traded accusations over corruption, geopolitical pandering and the president’s wild shifts in tone toward the Asia superpower (AP Photo/Matt Slocum)

দর্পণ ডেস্ক : নতুন কৌশলে ডেমোক্রেটদের প্রথম সাফল্য ওহিওর সাবেক গভর্নর, রিপাবলিকান নেতা এবং ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক জন ক্যাসিককে দলে ভেড়ানো। ২০১৬ সালে রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকলেও ট্রাম্পের সঙ্গে সেবার পেরে ওঠেননি ক্যাসিক। এবারের অন্যতম হাইপ্রোফাইল রিপাবলিকান নেতা হয়েও বাইডেনের সমর্থনে ডেমোক্রেটদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।

আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর পার হয়েছে প্রায় চার মাস। এতদিন দলের বিভক্ত অংশগুলোকে একত্রিত করা এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটানোই গুরুত্ব পেয়েছে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের কাছে। তবে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এখন অন্য কৌশলের দিকে নজর দিয়েছেন তিনি। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানদের মধ্যে ট্রাম্পবিরোধীদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন বাইডেন।

অনেকের মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিজ দলের হাইপ্রোফাইল অনেক নেতা প্রকাশ্যে সমালোচনার কারণেই শহরগুলোতে হেরেছেন রিপাবলিকানরা। কিন্তু, দলের ভেতর জনপ্রিয়তা হারাতে থাকলেও এটি বন্ধে তেমন কোনও পদক্ষেপই নেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং, গত সপ্তাহে নতুন প্রচারণা ম্যানেজার নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

বেশিরভাগ জরিপে বাইডেনকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, এর মূল কারণ তার জনপ্রিয়তা নয়, বরং ট্রাম্পের প্রতি মানুষের বিদ্বেষ বাড়ছে বলেই হোয়াইট হাউস দখলের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে ডেমোক্রেটরা।

ফ্লোরিডার কৃষি কমিশনার নিকি ফ্রায়েড বলেন, বাইডেন মধ্যবিত্ত ও গ্রামীণ মানুষদের সহজেই আকর্ষণ করতে পারেন। তবে এখনই বিজয়ী হওয়ার ধারণা করার মতো সময় আসেনি। সময় যত গড়াবে, হিসাব আরও কঠিন হয়ে উঠবে।

২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে পুরোটা সময় জনপ্রিয়তার জরিপে হিলারি ক্লিনটনের পেছনে থাকলেও ভোটের লড়াইয়ে ঠিকই জিতে যান ট্রাম্প। এবারের লড়াইয়ে জনপ্রিয়তায় বাইডেন এগিয়ে থাকলেও অর্থসম্পদের দিক থেকে ট্রাম্পের চেয়ে বহুগুণ পিছিয়ে তিনি।

ইতোমধ্যেই নির্বাচনীয় প্রচারণায় শুধু টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের জন্য ১৪৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, এর মধ্যে শুধু ফ্লোরিডাতেই খরচ করা হবে ৩৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে, জো বাইডেন এখনও শেষ কয়েক মাসের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য কোনও অর্থবরাদ্দ করেননি।

তারপরও ডেমোক্রেট সমর্থকদের আশা, অর্থের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকলেও মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তার জোরেই ট্রাম্প সরিয়ে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসবেন বাইডেন।