দর্পণ ডেস্ক : বিশ্বে করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ার পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সবার আগে যেসব দেশ ফিরেছে নিউজিল্যান্ড তাদের একটি। করোনার শেষ রোগীটি সুস্থ হয়ে ওঠার পর সীমান্ত কড়াকড়ি ছাড়া সব ধরনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন করোনামুক্তির আনন্দে নেচেছেন জানিয়ে বলেছেন, নিউজিল্যান্ড এখন করোনামুক্ত।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এখন সামাজিক দূরত্বের বিধান কার্যকর থাকলেও নিউজিল্যান্ডে তা থাকছে না। সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান, আতিথেয়তা শিল্প, সব ধরনের সরকারি পরিবহনে এখন থেকে আর সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে না বলে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
করোনামুক্তির আনন্দের খবরে নেচেছেন জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, যদিও এখনও কাজটি শেষ হয়নি। তারপরও এটি যে মাইলফলক তা অস্বীকার করার উপায় নেই… ধন্যবাদ, নিউজিল্যান্ড।
তিনি বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা নিউজিল্যান্ডে ভাইরাসটির সংক্রমণ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এই নির্মূলকরণ একটি নির্দিষ্ট সময়ের কাজ নয়; এটি একটি টেকসই প্রচেষ্টা।
নিউজিল্যান্ডের ৫০ লাখ মানুষ মহামারির কবল থেকে মুক্তি পেলেও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ব্রিটেন এবং ভারতের মতো বৃহৎ অর্থনীতির দেশে ভাইরাসটির ব্যাপক বিস্তার অব্যাহত আছে।
৭৫ দিনের বিধি-নিষেধের পাশাপাশি সাত সপ্তাহের কঠোর লকডাউন মেনে করোনা মোকাবিলায় সফল নিউজিল্যান্ড। এ সময়ে দেশটিতে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। তবে শুধুমাত্র জরুরি সার্ভিসের কর্মীরা ছিলেন এই বিধি-নিষেধের বাইরে।
সোমবার মধ্যরাত থেকে সামাজিক দূরত্বের বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, আজ ৭৫ দিন পর আমরা প্রস্তুত। কিউই এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন নিউজিল্যান্ডে আর কোনও করোনা রোগী নেই বলে কর্মকর্তারা তাকে খবর দেন, তখন তিনি আনন্দে হালকা করে নেচেছেন।
দুই বছরের কন্যাশিশু নিভেকে চমকে দিয়ে নেচেছেন তিনি। জেসিন্ডা বলেন, সে একটু অবাক হয়েছিল। লাউঞ্জের আশপাশে তিনি কেন নাচছেন সেসম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না তার।