দুই বছর ধরে লন্ডনে পড়াশোনা করছিলেন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা জনাথন মোক। সম্প্রতি বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় জাতিগত বিদ্বেষে জড়িয়ে পড়ে হামলার শিকার হন।
সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে ঘটনাটি উল্লেখ করে একটা পাবলিক পোস্ট দেন মোক। সেখানে তিনি পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
মোক ফেসবুকে লিখেছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে লন্ডন শহরের অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা অক্সফোর্ড স্ট্রিট দিয়ে হাঁটার সময় এক দল লোক তার ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও লিখেন, পূর্ব এশিয়ানদের সম্পর্কে অহেতুক ভয় থেকে যুক্তরাজ্য ও গোটা বিশ্বে একই ধরনের হামলা হচ্ছে।
মোক জানান, হামলাকারীদের একজন তাকে লাথি মারে আর বলতে থাকে, ‘ আমার দেশে তোমাদের করোনাভাইরাস আমি চাই না।’ এরপর হামলাকারী আবার মোকের মুখে আঘাত করে রক্তাক্ত করেন।
মোক জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার মুখে কয়েকটা ফ্রাকচার হয়েছে। সেটার জন্য কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করতে হবে।
লন্ডন পুলিশ বিষয়টা নিশ্চিত করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে। এ জন্য সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করেছে তারা। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
মোক জানান, এবারই প্রথমবার নয়, এর আগেও তিনি এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন।
মোক ফেসবুকে লিখেছেন, যারা মনে করে লন্ডনে জাতিগত বিদ্বেষ নেই তারা ভুল ভাবেন।
মোকের ঘটনা একটা উদাহরণ মাত্র। জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাজ্যে জাতিগত বিদ্বেষ বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্টপ হেট নামের একটি সংস্থা সচেতনতা বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে তারা অনেক ফোন কল পাচ্ছেন। বেশিরভাগই জাতিগত বিদ্বেষ, বৈষম্যের শিকার হয়ে তাদের ফোন দিচ্ছেন। বিশেষ করে চীনা সম্প্রদায় এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি বেশি হচ্ছেন।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও অজ্ঞতা এবং ভুলভাবে তথ্য পাওয়ার কারণে পূর্ব এশিয়ানরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সূত্র : সিএনএন