মৃত্যু

৫৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর প্রধান কারণ কার্ডিওভাস্কুলার রোগ, যার মধ্যে রয়েছে ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ ও স্ট্রোক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) পরিচালিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, পেশাজীবীদের মধ্যে স্বর্ণকারদের অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে বাংলাদেশে স্বর্ণকারদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ‘‘কজ অব ডেথ ইন গোল্ডস্মিথ ওয়ার্কার্স অব বাংলাদেশ : ফাইন্ডিং ফ্রম ভারবাল অটোপসি’’ শীর্ষক গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়।

ফলাফল উপস্থাপনের সময় বলা হয়, দেশে আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ স্বর্ণকার পেশায় নিয়োজিত। ভিন্ন ধরনের পেশাগত ঝুঁকির কারণে তাদের মৃত্যুর কারণ জানা জরুরি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের গবেষকদের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

গবেষণার ফলাফল প্রকাশকালে জানানো হয়, স্বর্ণকারদের অকাল মৃত্যুর হার বেশি, যেখানে তাদের গড় আয়ু মাত্র ৫৯ বছর। ৫৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর প্রধান কারণ কার্ডিওভাস্কুলার রোগ, যার মধ্যে রয়েছে ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ ও স্ট্রোক।

গবেষণায় আরও জানানো হয়, মৃত স্বর্ণকারদের রোগের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে, তাদের ৪৫ শতাংশ কার্ডিওভাস্কুলার রোগে ভুগছিলেন এবং ২০ শতাংশ আক্রান্ত ছিলেন ক্যান্সারে। অসংক্রামক রোগ বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, মৃতদের ৬৫ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপ, ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিস, ৩৫ শতাংশ হৃদরোগ এবং ২০ শতাংশ কিডনী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ৭৫ শতাংশ স্বর্ণকারই দুই বা ততোধিক অসংক্রামক রোগে ভুগছিলেন।

স্বর্ণকারদের জীবনধারণের অভ্যাস তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়। মৃত স্বর্ণকারদের ৭০ শতাংশ নিয়মিত ধুমপান ও ২০ শতাংশ ধোঁয়াহীন তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করতেন। তাদের ৫০ শতাংশের নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস ছিল বলেও গবেষণায় উঠে আসে।

পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

ভারবাল অটোপসি পদ্ধতিতে করা গবেষণাটির ফলাফল উপস্থাপন করেন গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. খালেকুজ্জামান।