দেশের প্রেক্ষাগৃহে ৩টি ছবি মুক্তি পেয়েছে আজ। একটি শাকিব খান ও নুসরাত ফারিয়া জুটির প্রথম ছবি শাহেনশাহ, আনিসুর রহমান মিলন অভিনীত ‘চল যাই’, নুসরাত ইমরোজ তিশা ও কলকাতার পরমব্রত অভিনীত ‘হলুদবনি’। এর মধ্যে ‘চল যাই’ ও ‘হলুদবনি’  প্রাথমিকভাবে ঢাকার দুই বড় প্রেক্ষাগৃহ স্টার সিনেপ্লেক্স ও যমুনা ব্লকবাস্টারে মুক্তি পেলেও শাহেনশাহর প্রযোজক শতাধিক হলে মুক্তির কথা জানিয়েছেন। 

এই শতাধিক হলে শাহেনশাহ প্রযোজকের মন্তব্য নিয়ে এমন নিউজও প্রকাশিত হয়েছে একাধিক। দেশে সচল হলের সংখ্যা ৬২ থেকে ৭০ এর মধ্যে থাকলেও শাহেনশাহর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান জানিয়েছেন শাহেনশাহরে মুক্তি উপলক্ষে আরও অর্ধশত বন্ধ হল সচল হয়েছে। কিন্তু সচল হওয়া ওইসব হলের কোন তালিকা দিতে পারেননি তিনি। 

শাহেনশাহ ছবির প্রকাশিত হল তালিকায় মাত্র ৭৭টি হল সংখ্যা দেয়া আছে। তাহলে হল সংখ্যা ও সচল হল নিয়ে এতো মিথ্যাচার কেনো জানতে যোগাযোগ করা হয় সেলিম খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম সম্ভবত একশ’র অধিক হলে মুক্তি পাবে। আর অনেক বন্ধ হল সচল হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছি। হলের নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা তো বলিনি।’

এদিকে একদিনে  তিন ছবি মুক্তি পেলেও অথচ উৎসব ব্যতীত দুইয়ের অধিক ছবি মুক্তির নিয়ম নেই। তাহলে কিভাবে একদিনে তিন ছবি মুক্তি পায়? বিষয়টি নিয়ে প্রযোজক সমিতির সেক্রেটারি শামসুল আলম বলেন, শাহেনশাহর বাইরে অন্য দুটি ছবি কেবল দুটি করে হলে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এই জন্য বাকি হলের চাহিদা মেটাতেই শাহেনশাহ মুক্তি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রযোজক সমিতিতে ছবিটির প্রযোজক লিখিতও আবেদন করেছিলেন।

শাহেনশাহ ছবিটি পরিচালনা করেছেন শামীম আহমেদ রনি। ছবিটির মুক্তি নিয়ে বহু নাটক হয়েছে। কয়েক দফা মুক্তির তারিখ নির্ধারণ হওয়ার পরও আলোর মুখ দেখেনি। গতবছরের পহেলা বৈশাখে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে শুটিং শুরু হয়েছিল ছবিটির। সকল নাটকীয়তা শেষে আজ মুক্তি পেলো ছবিটি। 

অন্যদিকে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স ও যমুনা ব্লকবাস্টারে মুক্তি পাওয়া ‘চল যাই’য়ে অভিনয় করেছেন- আনিসুর রহমান মিলন, তাসনুভা তিশা, লুসি তৃপ্তি গোমেজ, হুমায়রা হিমু, সাব্বির হাসান, হৃতিকা ইসলাম, নাভিদ মুনতাসির, শিশুশিল্পী শরীফুলসহ অনেকে। 

খালিদ মাহবুব তূর্যর গল্প ও চিত্রনাট্যে ‘চল যাই’ নির্মাণ করেছেন মাসুমা রহমান তানি। এন ইনিশিয়েটিভ মাল্টিমিডিয়ার এ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন রাসেল মাহমুদ। আর অনুদান করেছেন সোহানী হোসেন। 

ছবিটি নিয়ে মাসুমা রহমান তানি বলেন, কয়েকজন তরুণ-তরুণীর দিশা খুঁজে পাওয়ার গল্প ‘চল যাই’। যে গল্পে নিবিড়ভাবে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ। যে যুদ্ধের বাতিঘর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

ইমপ্রেস টেলিফিল্মের যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘হলুদবনি’ও মুক্তি পেয়েছে দুই হলে।  ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার এ ছবিটি। এর তিনটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের নুসরাত ইমরোজ তিশা, কলকাতার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পাওলি দাম।

সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘হলুদবনি’ উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে নির্মিত ছবিটি পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে তাহের শিপন এবং ভারতের মুকুল রায় চৌধুরী। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত।