পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পরই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গণিত বিভাগের এক ছাত্রীকে মারধর ও কাঁটা-কম্পাস দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁচিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাত মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে জান্নাতুল নওরিন ঊর্মি নামে আহত ওই ছাত্রীকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১ মার্চ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চমতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে তার ওপর এ হামলা হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
আহত ছাত্রীর মা আফরোজা বেগম বৃহস্পতিবার জানান, ১ মার্চ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পরীক্ষা শেষে একাডেমিক ভবনের পাঁচতলা থেকে নিচে নামার সময় মুখোশধারী কতিপয় যুবক নওরিনের পথরোধ করে। পরে নওরিনের মুখে কাপড় গুঁজে দেয় এবং মারধর করে। এ সময় তারা জ্যামিতি বক্সের কাঁটাকম্পাস দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং রশি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে সে সেখান থেকে কোনোভাবে বাসায় চলে আসে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত বুধবার সকালে নওরিনকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নওরিন বর্তমানে হাসপাতালের পঞ্চম তলার ৩৩ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান হেনা রানী বিশ্বাস জানান, বিষয়টি মৌখিক কিংবা লিখিত কোনোভাবেই এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ওই ছাত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। এ রকম কোনো ঘটনা ঘটলে কারও না কারও দেখা বা জানার কথা। কিন্তু কেউই কিছু বলেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস বলেন, ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি তিনি শুনেছেন। শিক্ষকদের কয়েকজন প্রতিনিধিকে বিষয়টি জানতে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ২০১৮ সালে ১৫ অক্টোবর নওরিনকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় তার বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল মন্নান মৃধা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। নওরিনের বাবা বরিশাল মহানগরের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।