গাজীপুর মহানগরীর ভূরুলিয়া এলাকায় এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় আহত হয়েছেন একই কলেজের ছাত্র মো. মুন্না। প্রেমঘটিত কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ইমন নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত নাঈম সরকার সিটি করপোরেশনের পশ্চিম ভূরুলিয়া এলাকার লোকমান সরকারের ছেলে। তিনি স্থানীয় মডেল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী (মিস্ট) এর ২য় বর্ষের ছাত্র। আহত মুন্নার বাড়ি মহানগরীর বোর্ডাবাজার এলাকায়।
গাজীপুর সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভূরুলিয়া এলাকায় কলেজের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছিল মিস্টের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র মো. মুন্না ও তার এক বান্ধবী। এসময় সেখানে স্থানীয় তিন যুবক গিয়ে তাদের বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। পরে মুন্না তাকে সাহায্যের জন্য বন্ধু নাইমকে ডেকে নেয়। নাইম ঘটনাস্থলে গেলে তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে ওই তিন যুবক। এসময় গুরুতর আহত হন নাইম ও তার বন্ধু মুন্না। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাইমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার ইমন নামের এক তরুনকে আটক করা হয়েছে।
গাজীপুর সদর থানার এসআই মো. জাহিদুর রহমান বাদল স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, মুন্নার সঙ্গে স্থানীয় এক মেয়ের প্রেম ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ভুরুলিয়া এলাকায় বসে মুন্না ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ খবর শুনে ওই মেয়ের বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে রাজন, রানা ও ইমনসহ কয়েকজন গিয়ে মুন্নাকে শাসায়। এক পর্যায়ে তারা মুন্নার সঙ্গে বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় মুন্না তার সতীর্থ নাইমকে ডেকে আনে। নাইম ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরই রাজন, রানা ও ইমনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্রে ইমন ও মুন্নার উপর হামলা চালায়। পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ইমনকে আটক করে পুলিশে দেয়। তবে তদন্তের স্বার্থে মেয়ে ও তার বড় ভাইয়ের বিস্তারিত নাম পরিচয় দিতে সম্মত হয়নি পুলিশ। ঘটনাস্থলের পাশের একটি প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা থেকে তোলা ঘাতকদের দৌঁড়ে পালানোর একটি ফুটেজ ফেজবুকে ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার