রোববার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আনতে পারলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৪ ম্যাচে জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। বর্তমান দলের খেলোয়াড়দের ভেতর তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাই শুধুমাত্র জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের স্বাদ জানেন। দলটির বিপক্ষে টাইগাররা সবশেষ হারের স্বাদ পেয়েছিলো ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে।
সেই সিরিজের পর জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আরো ১৩টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর সবগুলোই অবশ্য দেশের মাটিতে খেলেছে টাইগাররা। প্রথমটি ছিলো ২০১৪ সালে মাশরাফীর নেতৃত্বে। সেবার পাঁচ ম্যাচের সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা।
এরপর ২০১৫ ও ২০১৮ সালে দু’বার তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এরমাঝে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি টেস্ট ও কিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখে জিম্বাবুয়ে। তবে ওয়ানডে ফরম্যাটে অবিচল ছিলো বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজই হতে পারে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফীর শেষ সিরিজ। সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা জিম্বাবুয়ের চেয়ে এগিয়েই আছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোন দলই দুর্বল নয়। তারা আমাদের হারাতে পারে এবং সম্প্রতি তারা অন্য দুই ফরম্যাটে আমাদের হারিয়েছে। তাই আপনি কোন কিছুই নিয়েই নিশ্চিত হতে পারেন না।’
মাশরাফী আরো যোগ করেন, ‘যেমনটি আমি আগেও বলেছি, শুরু থেকেই আমাদের জ্বলে উঠতে হবে। শুরুটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই। আমরা প্রথম ম্যাচটি জিততে চাই এবং এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে ভাববো। প্রথম দুই ম্যাচ জিততে পারলে তখন লক্ষ্য থাকবে হোয়াইটওয়াশ। তবে এখনই আমরা হোয়াইটওয়াশ নিয়ে কিছুই বলতে পারছি না। তারাও আমাদের হারাতে চাইবে।’
এর আগে ৭২বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। বিশ্বের যেকোন দলের চেয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বেশি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। ৭২ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ ৪৪টিতে জয় পায়। এছাড়া ২৮টিতে জিতেছে জিম্বাবুয়ে।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে শ্রীলংকা সিরিজের পর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। নতুন স্টাফ ও নতুন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর অধীনে কালকের ম্যাচটি বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে। শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ঐ সিরিজে দলে থাকা সাতজন এবারের স্কোয়াডে নেই। এমতাবস্থায় দলে অনেক পরিবর্তন নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। অভিষেক হতে পারে আফিফ হোসেনের।