দিল্লির অশোক নগরে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এই মসজিদ তছনছ করে, আগুন দেয়, ২৬-০২-২০২০।

চলতি সপ্তাহে সব চেয়ে বড় খবর ছিল ভারতের রাজধানী দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাফরাবাদ এলাকায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টা-পাল্টি বিক্ষোভ ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত হলেও, সেটা দ্রুত সাম্প্রদায়িক রূপ নেয়।

বিশেষ করে, মুসলিমদের বাড়ি-ঘর, মসজিদ-মাজার, দোকানপাটে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনা অনেককে ২০০২ সালে গুজরাটে মুসলিম-বিরোধী হত্যাযজ্ঞ এবং ১৯৮৪ সালে দিল্লিতে শিখ নিধনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

তাহলে আজ শুরু করা যাক এই ঘটনা নিয়ে একটি চিঠি দিয়ে, লিখেছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থেকে মোহাম্মদ সাহিব আলম:

‘বিকাশপিডিয়া’ নামক ভারতীয় ওয়েবসাইটে ভারতের সংবিধানের মুল বিষয়ের মধ্যে৯ নম্বরে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা আছে । কিন্তু দেশের একটা দাঙ্গাময় পরিস্থিতিতে, সন্ত্রাসীরা মসজিদে আঘাত হানার পাশাপাশি বেছে বেছে মুসলমানদের মারছে, প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মতো ঘটনা ঘটছে পুলিশের সামনেই । কিন্তু সেখানে পুলিশের আচরণ নীরব দর্শকের মতোই ।

তাহলে কী বলা যায় না, ভারত সরকার নিজেদের সংবিধানকেই অবমাননা করছে? এরূপ, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে সে দেশটিকে কি গণতান্ত্রিক বলা যাবে? এ বিষয়ে কী বলবে বিবিসি বাংলা?

বিবিসি বাংলার নিজস্ব কোন মতামত নেই মি. আলম। তবে আপনি যে দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন, সেরকম আশংকা ভারতে এবং বহির্বিশ্বে অনেকেই প্রকাশ করছেন। ভারত শুধু বিশ্বের সর্ব বৃহৎ গণতন্ত্রই না, একটি বড় ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রও বটে। কাজেই, ভারতের গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রে যদি দাগ পড়ে, তখন সেটা বিশ্বের সকল গণতন্ত্রমনা মানুষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর কোন ধর্মীয় বা জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে যদি কোন উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, তাহলে সেটা নিয়ে সারা বিশ্বেই উদ্বেগ থাকবে।

ভারত নিয়েই আরেকটি চিঠি, লিখেছেন খুলনার দাকোপ থেকে মুকুল সরদার:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারত। বেশ কিছু হতাহতের খবরও দিচ্ছেন বিবিসি বাংলার সংবাদদাতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ভারত সফরে রয়েছেন ঠিক তখনই নাগরিকত্ব আইন-এর বিরুদ্ধে এতটা উত্তাল হয়ে উঠলো কেন ভারত? প্রতিবাদী জনতারা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কি বিশেষ কোন বার্তা দিতে চাইছেন?

না মি. সরদার, আমার মনে হয় না এই প্রতিবাদ বা সহিংসতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভারত সফরের সাথে সম্পর্কিত। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অনেক দিন ধরেই হচ্ছে, এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তা বেশ শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলেছে। কিন্তু দিল্লিতে ঘটনা প্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে, স্থানীয় বিজেপি সমর্থকরা প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে যা খুব দ্রুতই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নেয়।

ভারত সম্পর্কেই থাকি, তবে ভিন্ন একটি প্রসঙ্গ। বাংলাদেশ আর ভারত নিয়ে একটি বিতর্কের ওপর মন্তব্য দিয়ে, লিখেছেন ঝিনাইদহ থেকে কাজী সাইদ:

ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিষান রেড্ডি সম্প্রতি দাবি করেছেন, “ভারত যদি সবাইকে সেদেশে অবৈধভাবে ঢোকার এবং নাগরিকত্ব নেবার সুযোগ দেয় তাহলে বাংলাদেশ অর্ধেক খালি হয়ে যাবে।” এরই প্রেক্ষিতে বিবিসি বাংলার তুলনামূলক প্রতিবেদনটি বেশ তথ্যবহুল, এবং এক নাগাড়ে পড়ে ফেলার মত বটে। সত্যি কথা বলতে, জনসংখ্যার তুলনায় বাংলাদেশ বেশ ছোট একটি দেশ।

শুধু আয়তনটা বাদ দিয়ে অন্য সব সূচক যদি তুলনা করি, তাহলে বাংলাদেশ ভারতের থেকে প্রায় প্রতিটি দিক দিয়ে এগিয়ে আছে। বিশ্বায়নের এই যুগে, এ সমস্ত বিষয় নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির আদৌ দরকার আছে কি? আমি তো মনে করি, নিজ নিজ প্রয়োজনে আমাদের নাগরিক যেমন ভারতে যাচ্ছে, তারাও আমাদের এখানে আসছেন। আর এটাই বিশ্বায়নের মূল লক্ষ্য বলেই আমি জানি।

বিশ্বায়ন সম্পর্কে আপনার ভাবনার সাথে আমি একমত মি. সাইদ। মানুষ একে অপরের দেশে যাবে, চিনবে, জানবে, সম্ভব হলে অন্য দেশে কাজ করবে, বসবাস করবে। এটা তো খারাপ কিছু না। বাংলাদেশে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি, এবং অভিবাসনের এটাই একটা বড় কারণ।

জাল টাকা, মাদক ব্যবসা ইত্যাদি অভিযোগে অভিযুক্ত শামিমা নূর পাপিয়ার খবর দিতে কি বিবিসি বাংলা গড়িমসি করেছিল? ঢাকার গেণ্ডারিয়া থেকে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান তাই বলছেন:

আলোচিত বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম ২৩ ফেব্রুয়ারি সবিস্তারে সংবাদ পরিবেশন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি আলোচনার ঝড় তোলে। পাপিয়াকে নিয়ে একদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবিসি বাংলার প্রবাহ ও পরিক্রমা অনুষ্ঠানে একটি প্রতিবেদন শুনলাম। আপনাদের ফেসবুক পাতায় কোন কোন সংবাদ দুই-তিন বারও আপলোড করা হয় অথচ উপরোক্ত ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদনটি ফেইসবুক পাতা বা ওয়েবসাইটে ঐদিন রাত ১০.৫৪ মিনিটে আপলোড করা হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হয় যে শামিমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে গত কদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তাহলে আপনাদের প্রতিবেদন এত দেরি হওয়ার কারণ কী? এটা কী সরকারের প্রতি সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ, নাকি সংবাদের গুরুত্ব বিবেচনা না করে যথাসময়ে সংবাদ পরিবেশনে ব্যর্থতা।

একটি গ্রেফতারের ঘটনা দেরিতে রিপোর্ট করা কীভাবে সরকারের প্রতি সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ হতে পারে তা আমার বোধগম্য নয় মি. রহমান। অনেক সময় কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ঘিরে দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতির গল্প আমরা ধীরে সুস্থেই প্রকাশ করি, যাতে কোন তথ্য বিভ্রাট না হয়, যেহেতু সেখানে মানহানির সম্ভাবনা থাকে। আবার সব গ্রেফতারের ঘটনা আমরা রিপোর্ট করিও না, কারণ সব গ্রেফতার আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। মিস পাপিয়ার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হবার পরই আমরা সেটা নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেই।

শামিমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলে লিখেছেন পটুয়াখালীর মৌকরন থেকে শাহিন তালুকদার:

পাপিয়ারা যখন ধরা পড়ে, তখন দুই-এক দিন এটা নিয়ে মিডিয়াতে খুব তোলপাড় হয়। তারপর থেমে যায় এবং জনগণ আর জানে না এটা কোন পর্যায়ে গেল। এখন, পাপিয়াদের উত্থান হয় কোথা থেকে, এদের মূলে কারা, এদের পেছন থেকে যোগান দিচ্ছে কারা, রাঘব-বোয়ালরা কারা? এদের উৎপত্তি হয় কী করে, জন্ম হয় কী করে, শুরুতে কেন ধরা হয়না? কিছুদিন আলোচনায় থাকার পর অন্য ঘটনা আসে আর এগুলো ঢাকা পড়ে যায়।

আপনি বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন মি. তালুকদার। এই রহস্য উদঘাটন করার দায়িত্ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। অথবা স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও অনুসন্ধান চালিয়ে, তথ্য প্রমাণ যোগার করে নেপথ্যের খল নায়কদের পরিচয় উদঘাটন করতে পারে।

এবারে নতুন একজন পত্র লেখকের চিঠি। পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে লিখেছেন ফারিয়া লায়লা:

ছোটবেলা থেকে বিবিসি আর ভয়েস অফ আমেরিকা শুনে আমি বড় হয়েছি। এমন একদিন ছিল না যে আমার সরকারি চাকরিজীবী আব্বা খবর না শুনে ঘুমাতে যেতেন। খবর শুনবার পরে থাকতো তার উপরে আলোচনা, বিশ্লেষণ। বাচ্চাদের কাকলি নামে একটা ছোট অনুষ্ঠান হতো। কানে এখনো ভাসে শুরু হবার ভূমিকা” কাছে এসে বসো। বসেছো?” তার পরে শুরু হতো। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেত। আমার আব্বা হঠাৎ করেই চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে ২০১৮ অক্টোবরে। তাকে খুব মনে পড়ে। আর সেই অভ্যাসের জন্যই হয়তো আপনাদের ফলো করি।

বিবিসি বাংলাকে ফলো করার জন্য ধন্যবাদ ফারিয়া লায়লা এবং আপনার প্রয়াত বাবার প্রতি রইলো আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। আশা করি ভবিষ্যতে আরো চিঠি লিখবেন।

নতুন পত্র লেখক থেকে প্রবীণ শ্রোতায় যাই। কিছুটা স্মৃতিচারণ করেন লিখেছেন ঢাকা সেনানিবাস থেকে এম আলম:

আমি ১৯৫৮ সাল থেকে বিবিসি শুনে আসছি, যখন আমি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তাম। এই দীর্ঘ সময় বিবিসির সাথে থেকেও কখনো আমার বিবিসিকে পুরনো মনে হয়নি, বিবিসি সবসময় হাজির হয়েছে আমাদের কাছে নতুনত্ব নিয়ে। আর এই জন্যই বিবিসির সাথে রয়েছি এখনো এবং থাকবো বাকি জীবন।

বিবিসিতে আগে হাতে লিখে চিঠি পাঠিয়েছি অহরহ, কিন্তু আপনারা চিঠি লেখার বক্স বন্ধ করার পর থেকে আর চিঠি লিখতে পারি না। এই বৃদ্ধ বয়সে এসে নিজে ইমেইল করা আমার জন্য দুঃসাধ্য আর তাই অন্যের সাহায্য নিয়ে এই ইমেইলটি লিখলাম। অপ্রিয় হলেও সত্য যে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে আমরাও হারিয়ে যেতে বসেছি।

যাইহোক অনেক বছর আগে বিবিসি বাংলাতে দ্বীপান্তরের বাঙালি নামের দশ পর্বের একটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল। যদি অনুষ্ঠানটি আপনাদের আর্কাইভে থেকে থাকে তাহলে নতুনদের জন্য হলেও একটিবার পুনঃ প্রচার করার অনুরোধ রাখছি।

এই দীর্ঘ সময় ধরে বিবিসি শুনছেন জেনে আপনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ মি. আলম। অনুষ্ঠানে অনেক পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু আপনি আমাদের সাথেই আছেন। আপনি দ্বীপান্তরের বাঙালি নামের যে ধারাবাহিকের কথা বলছেন, তার কথা আমাদের অবশ্যই মনে আছে, মালবী গুপ্তর করা আন্দামান দ্বীপুঞ্জের বাঙালিদের কথা। অনুষ্ঠানটি আমাদের আর্কাইভে আশা করি আছে এবং কোন এক সময় সেটা পুন: প্রচার করা যেতে পারে।

বিশ্বে করোনাভাইরাসের যে ভাবে বিস্তার লাভ করছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খুলনার কপিলমুনি থেকে মোহাম্মদ শিমুল বিল্লাহ বাপ্পী:

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলার মাধ্যমে জানতে পারলাম ইটালি দক্ষিণ কোরিয়া ইরানে অনেক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি এই মারণ ব্যাধির কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারে নাই? আমরা গণ মাধ্যমে জেনেছি বিগত সময়ও করোনাভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ।এবং অনেকে মারা গেছে কিন্তু এই বছরের মতন বিস্তার লাভ করে নাই ।এবার এই ভাইরাস এত বেশি বিস্তৃত হচ্ছে কেন ? করোনাভাইরাস কি বাতাসের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে অন্যর দেহে যায় ?

এই ভাইরাস নিশ্চয়ই পরিবর্তন হয়ে আরো অনেক সংক্রামক রূপ নিয়েছে যে কারণে এত দ্রুত বিস্তার লাভ করেছে। বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমণটা হয় বলেই এটা নিয়ন্ত্রণ করা এত কঠিন। এর কোন চিকিৎসা না থাকায় অল্প সময়ে এত মানুষ মারাও গিয়েছেন।

করোনাভাইরাস নিয়ে আরেকটি চিঠি, লিখেছেন গাইবান্ধার দারিয়াপুর থেকে মাহবুবুর রহমান মামুন:

সামাজিক মাধ্যমগুলোর কিছু কিছু খবরে বলা হচ্ছে যে, চীন করোনাভাইরাস নিয়ে মিথ্যাচার করছে। দেশটি যতটা তথ্য দিচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তার চেয়ে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। এ বিষয়ে চীনের উহান শহরের সংবাদদাতারা কি বলছে?

উহান শহরে সংবাদদাতারা কী বলছে তা আমি জানি না মি. রহমান, কারণ সেখানকার কোন সাংবাদিকের সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। তবে এই মাপের মহামারি যখন হয়, তখন আক্রান্ত দেশের সরকার অবশ্যই কোন ভীতি ছড়াতে চায় না। আর চীনে যেহেতু গণমাধ্যম সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই এই সন্দেহ তৈরি হয় যে আসল চিত্রটি বের হচ্ছে না। তবে আমার মনে হয়, এখন অন্যান্য দেশগুলো এ’কথা মেনে নিয়েছেন যে চীন তার সাধ্যমত চেষ্টা করছে সংক্রমণ কমাতে এবং আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা নিয়ে কোন লুকোচুরি হচ্ছে না।

এবারে ভিন্ন প্রসঙ্গ।

আমাদের খেলা-ধুলার ফিচার নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন যশোরের আশরাফুল আলম:

আমি কুড়ি তারিখের খেলাধুলা বিষয়ক অনুষ্ঠানটা শুনলাম। মনে হল একটা সাধারণ সংবাদ মাধ্যম শুনছি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন লিগের খেলা চলছে, পিএসজির মতন টিম হরল্যান্ডের কাছে পরাজিত হচ্ছে ,সে বিষয়টা আপনাদের নজরেই আসল না। এছাড়াও লা লিগা, বুন্দেস লিগা, প্রিমিয়ার লীগের হালচাল এবং ম্যান সিটির দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা কোন কিছুই আপনাদের দৃষ্টিগোচর হল না। আপনারা মাশরাফি এবং বাংলাদেশ ছাড়া কি কিছুই বোঝেন না?

আপনার কথা আমি আংশিক মানলাম মি. আলম। আপনি যেসব ঘটনার কথা সেগুলো সবই ছিল দিনকে দিনের ঘটনা যেগুলো আমাদের নিয়মিত স্পোর্টস বুলেটিনেই কাভার করা হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবারের ফিচারটি পুরনো খবর নিয়ে তৈরি করার কথা না। তবে হ্যাঁ, আমি একমত যে আমরা হয়তো বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে একটু বেশি করছি যার ফলে অন্যান্য স্পোর্টসকে অবহেলা করা হচ্ছে।

একই সুরে লিখেছেন দীপক কুমার গাঙ্গুলি, কিন্তু তিনি কোন ঠিকানা দেননি:

বিবিসির পরিক্রমা এবং ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানগুলো ফিরে আসাতে আমি আনন্দিত। তবে খেলাধুলা বিষয়ক যে অনুষ্ঠানটা হচ্ছে, সেটা খুব বেশি বিশ্লেষণাত্মক হচ্ছে না। অনুষ্ঠানের বেশি সময় জুড়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সংবাদ থাকে। যা অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের সংবাদের মতন শোনায়। কিন্তু আপনাদের “মাঠে ময়দানে” নামে যে অনুষ্ঠান প্রচারিত হত, সেখানে বিশেষ কোন খেলার, বিশেষ কোন বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হত। যার মাধ্যমে অনেক অজানা বিষয়গুলো জানতে পারতাম । বিবিসির নিকট আমার আবেদন, বিষয়টা নিয়ে বেশ ভাববেন।

আমি আগের চিঠির জবাবে যা বলেছি, তার পুনরাবৃত্তি করেই বলছি, আমাদের খেলা-ধুলা ফিচারের বিষয়-বস্তুতে বৈচিত্র্য আনতে হবে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।

এবারে কিছু চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করা যাক:

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে দিপক চক্রবর্তী

ঢাকার দক্ষিণখান থেকে মোহ্ম্মদ জুবায়ের হোসেন

পটুয়াখালী সদর থেকে মোহাম্মদ ইলিয়াস জোমাদ্দার ইমন।

বাগেরহাট থেকে মোহাম্মদ তৈমুর হুসাইন

মাতুয়াইল, যাত্রাবাড়ী থেকে মোবারক হোসাইন

পঞ্চগড়ের বড়শী থেকে মোহাম্মদ উজ্জ্বল ইসলাম

দিনাজপুরে পার্বতীপুর থেকে মেনহাজুল ইসলাম তারেক

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাকামে মাহমুদ চৌধুরী