চট্টগ্রাম: পাহাড়তলী শেখ রাসেল পার্কে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের আয়োজনে বসন্ত উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ‘নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এল প্রাণে’ শিরোনামে বোধনের বসন্ত উৎসব শুরু হয় বোধনের সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী সোহেল আনোয়ার ও কবি দারা মাহমুদের ‘দিন আসে’ কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে।

পাহাড়তলীতে বসন্ত বন্দনায় বোধন

এরপর সংগীতশিল্পী শ্রেয়সী রায়ের পরিচালনায় অভ্যুদয়ের শিল্পীরা সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন। এ সময় ফাগুনের নতুনপ্রাণে বসন্তের বর্ণিল সাজে বাসন্তী রূপ স্বতঃস্ফূর্ত করে তোলে পুরো উৎসব প্রাঙ্গণ। 

এরপর দলীয় নৃত্য পরিবেশনায় বসন্তের আগমনী বার্তায় প্রাণে উচ্ছ্বাস ছুটে যায় নৃত্যরূপ অ্যাকাডেমি, ওডিসি অ্যান্ড ট্যাগোর ড্যান্স মুভমেন্ট সেন্টার, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ ও স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স এর নৃত্যশিল্পীরা।

একক সংগীতে বসন্তের উদ্বেলিত মুহূর্ত এনে দেয় সংগীতশিল্পী শ্রেয়সী রায়, মোস্তফা কামাল, গীতা আচার্য্য, ইমন শীল ও করিম মানিক। দলীয় সংগীতে ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন ও সুরপঞ্চম সংগীত অ্যাকাডেমির শিল্পীরা গানেগানে প্রাণ জাগিয়ে তোলে।

সে রেশটুকুও ভায়োলেনিস্ট চিটাগাং এর একঝাঁক মুখ বসন্তের রঙিন দ্বার প্রসারিত করে। সকালের অধিবেশনে আবৃ্ত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী সুবর্ণা চৌধুরী ও পলি ঘোষ।

বিকাল ৩টায় বর্ণাঢ্য বসন্তবরণ শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় দ্বিতীয় অধিবেশন। এরপর বংশীধ্বনি সংগঠনের সদস্যদের যন্ত্রসংগীতে মুখর হয় দর্শকদের মনে বাসন্তী দোলা দেয়।

পরে সংগীতে বসন্তের আবহ তৈরি করেন সংগীত ভবন, নবধারা সংগীতালয়। দলীয়নৃত্যে অংশ নেয় এবি নৃত্যাঙ্গন, নৃত্য রং, নৃত্য নিকেতন। ভায়োলিন পরিবেশনায় ছিলেন শিল্পী আনিস মাহমুদ। একক সংগীতে ছিলেন কাবেরি সেনগুপ্তা, মাহবুবুর রহমান সাগর, রিশু তালুকদার, সুভ্রত ধর, প্রিয়া ভৌমিক, চন্দ্রিমা ভৌমিক।

একক আবৃত্তি করেন রাশেদ হাসান, মসরুর হোসেন, দেবাশীস রুদ্র, এহতেশামুল হক, ইসমাইল সোহেল, অনুপম শীল। কথামালায় অংশ নেন কবি কামরুল হাসান বাদল। উৎসব মঞ্চ জমিয়ে তুলে বন্দর ব্যান্ড।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
এমআর/টিসি