লোহাগড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকার (ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ)

হামলায় চেয়ারম্যানের দুই পা ও ডান হাত শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া বাম হাতের তিনটি আঙুল কেটে পড়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 

বদর খন্দকার লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়ার কালনা গ্রামের ময়ের খন্দকারের ছেলে। তিনি ওই ইউপির আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য ছিলেন। এছাড়া বিগত মেয়াদে তিনি লোহাগড়া ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। 

পুলিশ, বদর খন্দকারের আত্মীয় আব্দুল আলীম ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কালনা ঘাট এলাকায় অবস্থিত তার ইটভাটা থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ৯৫ নম্বর টি চর-কালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। এ সময় তাদের হাতে থাকা রামদা, ছ্যান দাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন সন্ত্রাসীরা। চেয়ারম্যানের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বদর খন্দকারের ডান হাতের কবজি ও দু’পা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এছাড়া ধারালো অস্ত্রের কোপে বাম হাতের তিনটি আঙুল কেটে পড়ে যায়। আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল শিকদারের সঙ্গে বদর খন্দকারের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। এর জের ধরে তার ওপর এ হামলা হয়েছে বলে তাদের দাবি।

লোহাগড়া থানার ওসি আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কালনা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে।