চট্টগ্রাম: বোয়ালখালী উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারি খতিয়ান খারিজ করে উৎস খতিয়ান ফেরত দেওয়া নিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী মো. মুছার বিরুদ্ধে।

মোটা অংকের টাকা ঘুষ না দিলে জমির খতিয়ান খারিজ করতে মো. মুছা গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মদিবসে নিজ কক্ষে পাওয়া যায় না তাকে। ফোন করলে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে দালালের সাহায্য সেবা নিতে সেবা প্রত্যাশীদের পরামর্শ দেন তিনি।

অফিস সহকারী মো. মুছার চেয়ার ফাঁকা।

সরকারি নিয়মে একই কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশি সময় একই কর্মস্থলে থাকার নিয়ম না থাকলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তিনি দীর্ঘদিন স্বপদে বহাল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল আহলা এলাকার লোকনাথ বসাক ও রূপন বসাকের জমির নামজারি এবং জমাভাগ মামলার আদেশ মতে খতিয়ান তৈরির কপি সময় পর্যন্ত ফেরত দেননি মো. মুছা। এ বিষয়ে বেশ কয়েক দফা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান মেলেনি।

পূর্ব চরণদ্বীপ এলাকার হাজী মোহাম্মদ ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, আমার ওয়ারিশান ও খরিদা সম্পত্তি নামজারির খতিয়ান সৃজন করতে উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করলে নামজারি ও জমাভাগ মামলা দায়েরপূর্বক গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তারিখের আদেশ মতে খতিয়ান সৃজন করা হয়। তবে এ খতিয়ানে ভুল থাকায় তা খারিজ করা জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু আবেদনের পরও সেটি খারিজ করা হয়নি।

নুরুল আলম, সৈয়দ নূর ও শ্যামল মিত্র নামের তিনজন ভুক্তভোগী বলেন, সেখানে দালাল ছাড়া কোনো কাজ হয় না। ৪-৬ মাস ধরে নামজারির ফাইল নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। ৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেলেও কাজ হয়নি বলে জানান সৈয়দ নূর।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মো. মুছার মুঠোফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এসি/টিসি