অনলাইন ডেস্ক : রোজার মাসে ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ভোগ্যপণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণপূর্বক তা দোকানের সামনে প্রদর্শন করা হচ্ছে। অন্যদিকে পৌর মেয়র মাংস বিক্রেতাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন হাড়বিহীন প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে। নির্দেশনা যাঁরা অমান্য করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এজন্য একটি মনিটরিং সেল করেছে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা ।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ‘রমজান মাস শুরুর বেশ কয়েকদিন আগে থেকে একাধিকবার পৌরশহর চিরিঙ্গাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ীদের সতর্ক এবং কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয় প্রতিটি ভোগ্যপণ্যের সঠিক মূল্যতালিকা তৈরি করে দোকানের সামনে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে। যাতে একজন ক্রেতা দোকানে গেলেই জানতে পারে কোন পণ্যের কত মূল্য।’

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘গত বুধবার পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বাজার মনিটরিং কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। সেখানে মাংসের দোকানে এখন থেকে হাড়বিহীন গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫০০ টাকা এবং ২৫০ গ্রাম হাড়সহ প্রতিকেজি ৪৩০ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।’

মেয়র আরো বলেন, ‘নির্ধারণ করে দেওয়া দাম থেকে কেউ একটাকা অতিরিক্ত এবং ওজনে কারচুপি করলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চকরিয়া পৌরসভার উদ্যোগে বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটিতে মেয়র আলমগীর চৌধুরীকে সভাপতি করা হয়েছে।