প্রতিদিন সকালে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হাসপাতাল মোড়, শহীদ মিনার মোড়, টার্মিনাল, কলেজ মোড় হয়ে ক্যাম্পাসে আসে এসব বাস। যা শিক্ষার্থীর তুলনায় অনেক কম। যে কারণে যাতায়াতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের।
এমনটিই জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তুহিন। তিনি ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আধাঘণ্টা পর পর ক্যাম্পাসের উদ্দেশে বাস ছাড়ে। একটি বাসে বায়ান্ন সিট থাকে। এই বায়ান্ন সিটের বাসে ১১০ জন উঠে। নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীর চাপ আরো বেড়েছে। কিন্তু বাড়েনি বাসের সংখ্যা। পাশাপাশি বাসগুলো অনেকে রিকুইজিশন নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে। যা সত্যিই দুঃখজনক।
বিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বাসে ইদানিং প্রচুর ভিড় হয়। মেয়েদের দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। বাসের উঠার পর বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী অর্থাভাবে লোকাল বাস কিংবা অটোতে যাতায়াত করতে পারে না। তাই পরিবহন সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরো তৎপর হওয়া উচিৎ। পরিবহন পুলে সৈয়দপুর পর্যন্ত নতুন বাস সংযোজন হলে শিক্ষার্থীরা আরো উপকৃত হতো।
এদিকে বাসচালক জুলফিকার আলি ভুট্টু বলেন, প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন চালাচ্ছি। আর অতিরিক্ত শিক্ষার্থী নিয়ে যাতায়াত করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দ্রুত বিকল হচ্ছে। নতুন শিডিউল করে একঘণ্টা পরপর বাস ছাড়া হলে বাসে চাপ কিছুটা কমবে।
অন্যদিকে পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মফিজউল ইসলাম বলেন, ভিসি প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম যোগদানের পূর্বে ২৪টি যানবাহন ছিলো। বর্তমানে তা ৩৬টি। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আরো চারটি যানবাহন (দুইটি বাস ও দুইটি মাইক্রো) কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আশা করছি নতুন বাস যুক্ত হলে সঙ্কট কমবে।