মাদারীপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক ও মায়ের বিচারের দাবিতে আদালতে মামলা করেছেন নিহতের ছেলে। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করে শুক্রবার বিকেলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামে।

জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামের কামাল মুন্সির স্ত্রী নাছিমা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া ছিল একই গ্রামের সামসু খানের ছেলে মামুন খানের। এই সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে না জানিয়ে মামুনকে পাঁচ লাখ টাকা ধার দেয় নাছিমা। বিভিন্ন সময় ধারের টাকা ফেরত চাইলেও টাকা ফেরত দেয়নি মামুন। এর পর টাকা ধার দেওয়ার বিষয়টি নাছিমার স্বামী জেনে যায়। এরপর নাছিমা এবং মামুনকে বিভিন্ন সময় গালমন্দ করেন কামাল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খুনের পরিকল্পনা। গত ২০ এপ্রিল ঘুমের মধ্যে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয় কামাল মুন্সিকে। এ সময় মামুনকে হত্যায় সহযোগিতা করে কামাল মুন্সীর স্ত্রী নাছিমা বেগম। স্ত্রী নাছিমা বেগম হার্ট অ্যাটাকে কামাল মুন্সীর মৃত্যু হয়েছে প্রচার করে দাফন কাজ শেষ করে। এর পর কামাল মুন্সির ছেলে মেহেদী হাসান তার মা নাছিমা বেগমের মোবাইল ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে একটি কল রেকর্ড পায়। সেই কল রেকর্ডে ফাঁস হয়ে যায় হত্যাকাণ্ডের তথ্য। এই কল রেকর্ডের সূত্রে ধরেই গত বৃহস্পতিবার মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মা ও তার পরকীয়া প্রেমিক মামুন খানের বিরুদ্ধে মামলা করে মেহেদী হাসান। মামলার অন্য আসামিরা হলো- মামুনের ভাই সুমন খান ও মামুনের বাবা সামসু খান।

নাছিমা বেগম বলেন, মামুন বিদেশ যাওয়ার সময় ওকে ৪ লাখ টাকা এনে দিই। বিভিন্ন সময় টাকা চাইলে টাকা দেয় না। পরে আমার স্বামীকে জানাই। স্বামীকে জানালে মামুন আমাকে হুমকি দেয় মেরে ফেলার। একদিন রাতে আমাদের ঘরে ঢুকে আমার স্বামীকে হত্যা করে মামুন