পটুয়াখালী  প্রতিনিধি: : পটুয়াখালীতে পবিত্র রমজানকে পুজি করে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা যে যার মত মূল্য ক্রেতাদের কাধেঁ চাপিয়ে দিচ্ছেন।এক সপ্তাহ আগে যে দেশী পিয়াজ ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় তা গত ৩দিন পর্যন্ত জেলা শহরের হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায় গ্রাম গঞ্জে ৫০ টাকায়,ইন্ডিয়ান পিয়াজ ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকায়, গ্রাম গঞ্জে ৪০ টাকায়,ছোলা বুট ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকায়,চিনি ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায়।সবচেয়ে নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে শশা, বেগুন, লেবু, টমেটোর দাম। গতকাল বুধবার যে শশা বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় আজ তা বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়,লেবুর হালি ২০ টাকা থেকে বেড়ে ১ দিনে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়,৪০ টাকার টমোটে ৬০ টাকায়,৬০ টাকার বেগুন ১০০ টাকায়।মুড়ি ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকায় ।

এ দিকে পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে আজ পর্যন্ত পটুয়াখালীতে টিসিবির কোন কার্যক্রম লক্ষ করা যায়নি। পটুয়াখালী জেলা শহরের টিসিবর ডিলার মো: সোহেল জানান, টিসিবির মালামালের মূল্য বেশী থাকায়,আমরা টিসিবি থেকে মাল ছাড়াতে নিরুৎসাহিত ছিলাম। আজ বৃহস্পতিবার দুপূরে টিসিবির বরিশাল অফিস থেকে মালামালের মূল্য কমের কথা জানানোর পরে আমি ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিয়েছি। মালামাল প্রাপ্তি সাপেক্ষে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আগামী কাল থেকে মালামাল বিক্রি করতে পারবো বলে আশা রাখি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো: হেমায়েত উদ্দিন জানান, গত ১৫ মে পবিত্র রমাজানের পবিত্রতা রক্ষা সহ দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রনের জন্য চেম্বার নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ সহ এক সভা করা হয়।সেখানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে
পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখতে অনুরোধ করা হয় ।গতকাল থেকে আমরা ফলের দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরি করেছি,দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখতে আমরা সর্বাতœক চেষ্ঠা করে যাচ্ছি।এ ছাড়াও টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে টিসিবির পন্য বিক্রির কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা করা হবে।