মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে রাজধানীর বাড্ডার প্রগতি স্বরণী রোড থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল। গ্রেফতাররা হলো- মো. শরিফুল ইসলাম (২৫) ও মো. মাইনুদ্দিন ওরফে আবন (২৪)।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, চক্রটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করতো। কখনো যাত্রীবাহী বাস করে, কখনো ট্রাক, আবার কখনো পিকআপে মাদকদ্রব্য নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতো।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালানকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে গাঁজা নিয়ে আসতো। পরবর্তীতে গাঁজার চালানগুলো পিকআপে করে ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করা হতো। সে অবৈধভাবে গাঁজার চালান দেশে নিয়ে এসে তার সহযোগী শরিফুল ও মাইনুদ্দিনের মাধ্যমে মাদকের চালান ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় নিয়ে এই সিন্ডিকটের অন্যান্য সদস্যদর কাছে পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে বলে জানায়।
আসামি শরিফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে শাফী উল্লাহ বলেন, সে পেশায় একজন পিকআপ চালক। সে এর আগে এলাকায় ইজিবাইকের ড্রাইভার ছিলো। পরবর্তীতে সে কুমিল্লার এক মাদক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়। মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য সে জব্দকৃত পিকআপটি ক্রয় করে। সে এ গাঁজার চালানটি নারায়নগঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে আসছিল বলে জানায়। সে ১০/১২টি মাদকের চালান ঢাকা ও গাজীপুর নিয়ে এসেছে বলে স্বীকার করে। চালান প্রতি মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ৪৫ হাজার টাকা করে পেতো বলেও জানায়।
অপর আসামি মাইনুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে পেশায় ট্রেইলার্সরের কাজ করতো। ট্রেইলার্সে কাজের পাশাপাশি সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মাদক পরিবহনে সে শরিফুলের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ৮/১০টি মাদকের চালান ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় নিয়ে এসেছে বলে স্বীকার করে। চালান প্রতি সে ২০ হাজার টাকা করে দিতো বলে জানায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।