অনলাইন ডেস্ক : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে তালুকদার আব্দুল খালেকের জয়লাভের পর উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। খুলনার মত গাজীপুর সিটিতেও দলীয় মেয়র প্রার্থী জয়ী হবেন বলে মনে করছেন তারা। আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ মে একইদিনে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটি রিট আবেদনের পেক্ষিতে গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিত করেছিল হাইকোর্টে। পরবর্তীতে আপীল বিভাগের নির্দেশে ২৬ জুন এই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর কাজে পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীরা। ১৫ মে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী তালুকদার আব্দুল খালেক প্রায় ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পরাজিত করেছেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির কাছে প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন তালুকদার খালেক। গাজীপুর সিটির বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খানকে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ একাধিক নেতার বিরোধ ও কোন্দলের কারনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর জয় নিয়ে অনেকটা সন্দিহান ছিলেন স্থানীয় কর্মীরা। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাইকমা-ের সার্বিক তদারকির কারনে এবার ঐক্যবদ্ধ ছিল আওয়ামী লীগ। এছাড়া কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের পরাজয়ের অভিজ্ঞতা কাছে লাগিয়ে জয়ের ব্যাপারে নতুন কৌশল নেয় আওয়ামী লীগ। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক গলায় ঝুলিয়ে ভোট কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসব বিষয়ে খুলনা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ খুবই সর্তক ছিল।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, খুলনা সিটিতে জয়লাভের পর আমাদের নেতাকর্মীরা জয়ের ব্যাপারে এখন উজ্জীবিত। দলের মধ্যে এখনও যেটুকু অনৈক্য আছে তা অচিরেই দূর হয়ে যাবে। দলীয় মেয়র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। আর বড় দলে বিরোধ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রার্থীকে জয়ী করতে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মান-অভিমান ভূলে মাঠে নামবে বলে বিশ্বাস করি। নৌকার জয় হবে ইনশাআল্লাহ।