স্কুটারটি অটো হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বাজারে প্রচলিত যেসব স্কুটার আছে সেগুলোকে পায়ে ঠেলে চালানো হয়। তাছাড়া এই অটো স্কুটারটির পুরো নিয়ন্ত্রণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালকের হাতে থাকবে। চালু ও বন্ধ করার জন্য জন্য রয়েছে মোটর বাইকের মত চাবি। গিয়ার বক্স ব্যবহার করার মাধ্যমে চালক তার ইচ্ছে মতো গতি বাড়াতে ও কমাতে পারবেন। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য পায়ে ব্রেক আর রাতে চলাচল জন্য হেড লাইট ও হর্ন লাগানো হয়েছে।
এই স্কুটার গড়ার কারিগর হলেন মেহেদী হাসান, মিনহাজুল হক, রাহাত হোসেন, মোহাম্মদ তারেক। সবাই পড়ছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তিনমাস কাজ করে দেশে প্রথম এই অটো স্কুটার উদ্ভাবন করেছেন তারা।
শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জানান, স্কুটারটি যারা হাটতে পারেন না তাদের জন্য। প্রতিবন্ধী যারা কোনো কিছু ধরে দাঁড়াতে পারে কিন্তু হাটতে পারে না তাদের জন্য। কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা যেমন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, পার্ক, নদীর পাড়ে এ স্কুটার নিয়ে চলাচল করা নিরাপদ। কোনো কারণে ল্যাপটপ অথবা মুঠোফোনের চার্জ শেষ হলে গেলেও এটির মাধ্যমে চার্জ করে নেয়া যাবে।
মেহেদী হাসান আরো জানান, স্কুটারটি নিজেদের গবেষণাকক্ষ ও স্থানীয় একটি স্টিল ওয়ার্কশপে তৈরি করেছি। খরচ হয়েছে মাত্র ১৫০০০ টাকা। স্কুটারটিতে আরো কিছু নতুনত্ব আসছে। যা পুরোপুরি নিজেদের অর্থায়নে সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।