দর্পণ ডেস্ক : আয়ারল্যান্ড আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে নির্ধারিত টেস্ট আয়োজনে অপারগ । এর বদলে বাংলাদেশের সঙ্গে আগামী বছরে বাড়তি টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় দেশটি। আইরিশ ক্রিকেট বোর্ড শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একই সঙ্গে জানালো সিরিজটি তারা আয়োজন করতে ইচ্ছুক নিরপেক্ষ ভেন্যু ইংল্যান্ডে।
সফরে একটি টেস্টের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে, তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। টেস্ট বাদ হওয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজটি হবে চার ম্যাচের। ক্লনটার্ফের পুনর্গঠনের কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি তারা আয়োজন করতে চায় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
গত সপ্তাহেই তারা বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্ট আয়োজনে অপারগতার কথা জানায়। তাই টেস্ট ম্যাচটি একটি টি-টোয়েন্টিতে রূপ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রম। সব কিছু চূড়ান্ত হওয়াতে তারা এখন ওয়ানডের সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে খেলতে আগামী বছরের মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফর করবে। ১৪, ১৬ ও ১৯ মে তিনটি ম্যাচই হবে স্টোরমন্টে। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজটি হবে মে মাসের শেষ ভাগে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও তারা আয়োজন করতে পারতো ঘরের মাঠে। কিন্তু একটি ভেন্যু কমে যাওয়াতে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে বাড়তি চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে আয়ারল্যান্ডকে। সেই চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ডিউট্রম জানিয়েছেন, ‘২০২০ সালে ক্লনটার্ফ বড় ধরনের পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভেন্যুটি হারিয়ে তিনটি মাঠে আমাদের পিচের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২-তে। এসব মাঠে ১৫টি ম্যাচের ব্যবস্থা করতে হবে।’
এর ফলে আইসিসির বেঁধে দেয়া শর্ত অনুসারে পিচের প্রত্যাশিত মান ধরে রাখাটিও বড় চ্যালেঞ্জ তাদের জন্য। তাই বেশ কিছু ম্যাচ তারা ঘরের বাইরে আয়োজনে করতে চাইছে। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে চারটি টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হতে পারে আয়ারল্যান্ডের বাইরে। ডিউট্রম জানালেন তাদের সেই পরিকল্পনা, ‘এই মুহূর্তে আমরা ভেন্যুর বিকল্প নিয়ে ভাবছি। যেটা আমাদের সীমিত ওভারের ম্যাচের সূচির সঙ্গে যায়, নতুন পিচও যাতে পাওয়া যায়। আমাদের নিজস্ব ভেন্যু ফিরে পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ ভেন্যু ইংল্যান্ডে আতিথ্য দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের।’