দর্পণ ডেস্ক : হায়দরাবাদ থেকে আমেরিকার ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া ১৯ বছরের এক তরুণীকে শনিবার একটি গাড়ির পিছনের সিটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গাড়িটি গ্যারাজে দাঁড় করানো ছিল। তরুণীর পরিবারই ওই গাড়ির মালিক। পুলিশ জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনের পরে মেয়েটিকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে।
সোমবার খুনিকে গ্রেফতার করেছে শিকাগো পুলিশ। তার নাম ডোনাল্ড থারম্যান। বয়স ২৬। তাকে শিকাগো মেট্রো স্টেশন থেকে ধরা হয়। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। তার বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মেয়েটির পরিবার শনিবার তাদের জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ জানতে পারে, মেয়েটির ফোন রয়েছে হ্যালস্টেড স্ট্রিট পার্কিং গ্যারাজে। পুলিশ তখন এফবিআইয়ের সাহায্য নিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করে। তার ভিতরে মেয়েটির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
পরে পুলিশ ইউনিভার্সিটি চত্বরে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পায়, রাত একটা বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ মেয়েটি ডোনাল্ড থারম্যানের পিছু পিছু গ্যারাজে ঢুকল। দু’টো বেজে ১০ মিনিট নাগাদ ডোনাল্ডকে একা গ্যারাজ থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
ডোনাল্ড থারম্যান আগেও নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়েছিল। সে পুলিশ হেফাজতে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মাইকেল ডি আমিরিডিস বলেন, ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবরে আমরা শোকাহত। মেয়েটি স্বাস্থ্যকর্মী হতে চেয়েছিল। তার পরিবার ও বন্ধুবর্গকে সহানুভূতি জানাই।