দর্পণ ডেস্ক : কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে সমর্থন করতে রাজি হয়েছেন- এ খবর সোমবার সন্ধ্যায় শোনা গিয়েছিল। কিন্তু রাতের দিকে জানা যায়, এখনও শিবসেনাকে সমর্থন করা নিয়ে দ্বিধায় আছে কংগ্রেস।
এই পরিস্থিতিতে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য রাজ্যপালের থেকে আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন। রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি তাকে বাড়তি সময় দিতে অস্বীকার করছেন। তার বদলে তিনি সরকার গড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিকে। গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য শারদ পাওয়ারের দলকে সময় দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
সূত্রে জানা যায়, সোমবার উদ্ধব ঠাকরে বেশ কয়েকবার সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন। তিনি কংগ্রেসের সমর্থন চান। কিন্তু কংগ্রেস সভানেত্রী স্পষ্ট কোনও আশ্বাস দেননি। তিনি উদ্ধবকে বলেছেন, আপনাকে পরে ফোন করব। তার আগে সোমবার সকালে শিবসেনা আনুষ্ঠানিকভাবে এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
মোদি মন্ত্রিসভায় একমাত্র শিবসেনা মন্ত্রী অরবিন্দ সাওয়ান্ত পদত্যাগ করেন। তা সত্ত্বেও মতাদর্শগতভাবে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে থাকা শিবসেনাকে সমর্থন করা নিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কংগ্রেস।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বৈঠকে বসে এনসিপি। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এদিন শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন। সরকার গঠন করা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রথমত কংগ্রেস ও এনসিপি সরকার গঠনে উৎসাহ দেখায়নি। দ্বিতীয়ত দুই দলের সরকার গড়ার মতো গরিষ্ঠতাও নেই।
সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে শিবসেনার একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু কোনও দলের সমর্থনের চিঠি দেখাতে পারেননি তারা। এদিকে শিবসেনার একার সরকার গড়ার মতো গরিষ্ঠতা নেই। আদিত্য রাজ্যপালকে বলেন, ৪৮ ঘণ্টা সময় দিলে তিনি অন্যান্য দলের থেকে সমর্থনের চিঠি আনতে পারবেন। কংগ্রেস যদিও এখনও শিবসেনাকে সমর্থনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি। দলের তরফে বলা হয়েছে, আমাদের সভানেত্রী বিষয়টি নিয়ে শারদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে আবার কথা বলবেন।
মহারাষ্ট্রে ভিন্ন মতাদর্শের দলগুলোকে নিয়ে জোট তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন পাওয়ার। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি এক হোটেলে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলেন। তার আগেই উদ্ধব কথা বলেছিলেন সোনিয়ার সঙ্গে।