দর্পণ ডেস্ক : সোমবার সকালে সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে বৈঠকে বসেছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। মারাঠা স্ট্রংম্যান বলে পরিচিত শারদ পাওয়ারও শিবসেনাকে সমর্থনের জন্য কংগ্রেসকে রাজি করাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কিছুদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে শিবসেনাকে সমর্থন করা হবে না। তাদের আশঙ্কা ছিল, শিবসেনাকে সমর্থন করলে সংখ্যালঘু ভোটাররা দলের প্রতি বিরূপ হবেন। কিন্তু মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়করা বলেছিলেন, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য শিবসেনাকে সমর্থন করলে ভালোই হবে দলের।
এর মধ্যে বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে হাঁটছে তার দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী শিবসেনা। এদিনই মোদী সরকারের একমাত্র শিবসেনা মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শিবসেনার আশা, এনসিপি ও কংগ্রেস তাদের সমর্থন করবে। তাই তারা এনডিএ থেকে বেরিয়ে এসেছে। শরদ পওয়ার বলেছেন, “আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেই শিবসেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।”
মতাদর্শগতভাবে কংগ্রেস ও শিবসেনা দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থিত। শিবসেনা বরাবর হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি করে এসেছে। কংগ্রেসেরও বিরোধিতা করেছে কয়েক দশক ধরে। এখন শিবসেনাকে যদি কংগ্রেসের সমর্থন নিতে হয়, তাহলে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করতে হবে। তার ভিত্তিতে হয়তো শিবসেনা নেতৃত্বাধীন কোনও সরকারকে সমর্থন করবে শিবসেনা।
একটি সূত্রে খবর, শিবসেনার এমপি সঞ্জয় রাউত দিল্লিতে শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে সমর্থন চাইবেন। কংগ্রেস বিধায়কদের যাতে কেউ কিনে নিতে না পারে, সেজন্য রাজস্থানের জয়পুরে এক রিসর্টে তাঁদের রাখা হয়েছে। নিজের বিধায়কদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রেখেছে শিবসেনাও।