দর্পণ ডেস্ক : সমূহ বিপদের আশঙ্কা বিশ্বের সব উপকূলবর্তী এলাকায়। পরিবেশের এই পরিবর্তন রুখতে এশিয়ার দেশগুলোকে কয়লাপ্রীতি ছাড়ার পরামর্শ দিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বন্যায় ভাসতে পারে মুম্বাই, ব্যাংকক, হো চি মিন সিটির মতো বিশ্বের বহু শহর।
উষ্ণায়ন ও তার ফলে বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তনই এখন দুনিয়ার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে এশিয়ার দেশগুলোকে কয়লার ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন আন্তোনিও গুতেরেস। ব্যাঙ্ককে আসিয়ানের (অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস) বৈঠক শুরুর আগে শনিবার ব্যাংককে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “কয়লার প্রতি যে মারাত্মক টান রয়েছে তা জয় করতে হবে কারণ জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে এর একটা সম্পর্ক রয়েছে।”
আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, কার্র্ন নির্গমনের উপরে কর চাপিয়ে এই সমস্যা মেটানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে। কয়লার ব্যবহার কমাতে পারলে বিশ্বের তাপমাত্রাও কমবে বলে মনে করেন আন্তোনিও গুতেরেস।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলো যত দ্রুত উন্নতি করছে, তাদের শক্তির প্রয়োজনও তত দ্রুত বাড়ছে। শক্তির প্রয়োজন মেটাতে এি সব দেশগুলো মূলত কয়লার উপরেই নির্ভর করে।
ভিয়েতনামের মোট প্রয়োজনীয় শক্তির একতৃতীয়াংশই আসে কয়লা থেকে। ২০৫০ সালের মধ্যে তারা আরও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে চলেছে। থাইল্যান্ডও এখন খনিজ তেলের সন্ধান করছে। তারা যখন এই সব পদক্ষেপ করছে তখন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার উপকূলবর্তী বহু অঞ্চলই বন্যায় ভেসেছে।
এই সপ্তাহে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, সেই রিপোর্টের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হবেন অন্তত ৩০ কোটি মানুষ।
নেচার কমিউনিকেশন নামে একটি জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, উষ্ণায়নের ফলে সাইক্লোনের মাত্রা ক্রমেই বাড়বে এবং এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে এশিয়ার দেশগুলোর উপরে।
রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের প্রসঙ্গে তিনি মিয়ানমার সরকারকে অনুরোধ করেন, “তাদের উদ্বাস্তু হওয়ার কারণ খুঁজে বার করা হোক এবং তারা যাতে নিজেই নিরাপদে এবং সসম্মানে যথাস্থানে ফিরতে পারে তার ব্যবস্থা করা হোক।”
২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর সংখ্যা সাত লক্ষের কাছাকাছি। ভারতেও বহু রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু রয়েছে।
আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এখন ব্যাঙ্ককে রয়েছেন মিয়ানমারের নেত্রী আং সান সুচি। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ফেরানোর ব্যাপারে তাকে চাপ দিতে পারে দুই ইসলামিক দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ব্যাপারে মিয়ানমারের উপরে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।